অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধেই প্রিন্সের মৃত্যু

সৃজন মিউজিক ডেস্ক :
মার্কিন পপতারকা, সুরকার ও সফল সঙ্গীত রচয়িতা প্রিন্সের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়নি। হয়েছে ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগে। তার চিকিৎসককরা ঠিক এমনটিই জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্যনুযায়ী, প্রিন্সের শরীরে ফেন্টানিল নামের সিনথেটিক একটি ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগ হয়েছিল। চিকিৎসকদের মতে, এই ওষুধ মরণেনেশা হেরোইনের চেয়েও ৫০ গুন শক্তিশালী। এই ওষুধ সাধারণত সার্জারির পর খেতে দেয় চিকিৎসকরা।
প্রিন্সের মৃত্যুর পর গত মাসে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগে প্রিন্সের মৃত্যু হয়েছে। যে ওষুধ চিকিৎসকের  ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কেনা যায় না।

https://www.youtube.com/watch?v=Zw4pKEPpbYk

আন্তর্জ্যাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রিন্সের মৃত্যুর প্রায় মাসখানেক পর যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মিডওয়েস্ট  মেডিকেল পরীক্ষক কার্যালয়  থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা গেছে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দারা প্রিন্সের মৃত্যুর জন্য একজন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই চিকিৎসক প্রিন্সকে সপ্তাহে দু’বার দেখতেন। পপতারকা প্রিন্স সুরকার ও সফল সঙ্গীত রচয়িতা হিসেবে ৩০টিরও বেশি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। সাতটি গ্রামিজয়ী এই শিল্পীর রেকর্ড বিক্রি হয়েছে দশ কোটিরও বেশি।
১৯৫৮ সালে জন্ম নেওয়া প্রিন্স তার গাওয়া প্রায় সব গান নিজেই লিখেছেন। মঞ্চে তার পরিবেশনা শ্রোতাদের মধ্যে  যেন বিদ্যুৎ সঞ্চারণ করতো।
৩৫ বছরের সংগীতজীবনে রক, ফাংক, জ্যজের জগতে প্রিন্সের উদ্ভাবনী বিচরণ ভক্ত- শ্রোতাদের দিয়েছে ৩৯টি অ্যালবাম। ১৯৮৪ সালে ‘পার্পল রেইন’ ছবির গানের জন্য অস্কার এবং ২০০৭ সালে ‘হ্যাপি ফিট’ এর ‘সং অব দ্য হার্ট’ গানটির জন্য গোল্ডেন
globe পেয়েছেন এই মার্কিন গায়ক।