সৃজন মিউজিক
আজ রুনা লায়লার জন্মদিন
Published
4 years agoon

সৃজনমিউজিক প্রতিবেদক :
আজ উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন। সৃজনমিউজিকবিডির পরিবারের পক্ষ থেকে এই সুর সম্রাজ্ঞীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন। সংগীত জীবনের ৫০ বছর পার করেছেন এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। এত দীর্ঘসময় পেরিয়ে এসেও রুনা লায়লার তুলনা যেন শুধু তিনিই। জনপ্রিয়তা, সফলতা, প্রাপ্তির সঙ্গে এতটা বছর পাড়ি দিয়ে তিনি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য কমসংখ্যক মানুষেরই ভাগ্যে জোটে। নিজের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন এই মহাতারকা।
জন্মদিন এলে তিনি হারিয়ে যান শৈশবে, ছোটবেলার সেই সোনালি দিনে। তিনি বলেন, জন্মদিনে নতুন জামা পেতেন মা এবং বোনের কাছ থেকে। কিন্তু এই সময়ে এসে জন্মদিন এলেই রুনা লায়লা ছোটবেলার সেইসব ফেলে আসা দিন খুব মিস করেন। ছোটবেলার জন্মদিন প্রসঙ্গ এলেই একটু অন্যরকম হয়ে যান তিনি।
রুনা লায়লা বলেন, ‘আমার ছোটবেলার সব জন্মদিন ছিল স্মরণীয়। আমার জন্মদিনে বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব আসত, কেক কাটা হতো সব মিলিয়ে খুব আনন্দ হতো। এখন তো আর তা করা হয় না। মহান আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে সুস্থ আছি, ভালো আছি, এখনো ভালোভাবে গান গাইতে পারছি।
এখন জন্মদিনে নিজেদের পরিবারের সদস্যরাই নিজেদের মতো উদ্যাপন করি। বাইরে কোথাও সাধারণত যাই না। আজকের দিনটিও ঘরোয়াভাবেই উদযাপন করব। জন্মদিন এলেই আমার মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। কারণ আমার মায়ের জন্মদিন ১ ডিসেম্বর। মিস করি বড় নাতিকেও। কারণ তার জন্মদিন ২৪ নভেম্বর। গত বছর লন্ডনে বড় নাতির সঙ্গেই তিনি নিজের জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন। রুনা লায়লা তার আজকের অবস্থানের পিছনে বড় ভূমিকা হিসেবে তার মা এবং পাশাপাশি তার বাবা, বোন দীনা লায়লার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
আজ জন্মদিন উপলক্ষে রুনা লায়লার ফেসবুক পেজে রাত ১২টার অনেক আগে থেকেই আসছে শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা। রুনা লায়লা মাত্র ছয় বছর বয়সে মঞ্চে প্রথমবার গান করেছিলেন অনেকটা কাকতালীয়ভাবে। পাকিস্তানের করাচি শহরের একটি অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার বড় বোন দিনা লায়লার গান গাওয়ার কথা ছিল। পরে বোনের অসুস্থতার কারণে রুনা লায়লাকে সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতে বলা হয়। প্রথম সুযোগেই সবাইকে বেশ চমকে দেন ও পুরস্কৃত হোন। সেই থেকে শুরু হলো গানে তার পথচলা। রুনা লায়লার বয়স যখন ৯ বছর তখন ইন্টারস্কুল মিউজিক কম্পিটিশন হয়েছিল রেডিও পাকিস্তানের উদ্যোগে। কিন্তু রুনা লায়লা ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রী বলে আয়োজকরা নিতে চাননি।
তাদের কথা শুধু উর্দু মিডিয়ামের যারা তারাই অংশ নিতে পারবে। শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানে রুনাকে গাইবার সুযোগ দেয়া হলো এবং একটি গজল গেয়ে প্রথম হন তিনি। ওই সময় থেকেই গানের চর্চা আরও বেশি বেশি করে শুরু হয় রুনা লায়লার। মাত্র ১২ বছর বয়সে ১৯৬৫ সালে সিনেমায় প্লেব্যাক করেন। লাহোরে নির্মিত উর্দু চলচ্চিত্র ‘জগনু’তে কণ্ঠ দেন। গানটির কথা ছিল ‘গুড়িয়াসি মুন্নি মেরি’। রুনা লায়লা প্রথম বাংলা গান রেকর্ডিং করেন পাকিস্তান রেডিওর ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে। দেবু ভট্টাচার্যের সুর করা গান দুটি ছিল ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’ আর ‘আমি নদীর মতো পথ ঘুরে’। ষাটের দশকে বাংলা ছবিতে গান করার জন্য আমন্ত্রণ পান রুনা। চিত্রপরিচালক নজরুল ইসলাম আর সংগীত পরিচালক সুবল দাস স্বরলিপি ছবির গান রেকর্ডিং করতে যান লাহোরে। তারা ছবির একটি গান রুনাকে দিয়ে গাওয়ানোর পরিকল্পনা করেন। তখন তিনি দারুণ ব্যস্ত। একদিকে পড়াশোনা, অন্যদিকে গান। একই দিনে বিভিন্ন স্টুডিওতে ছয়-সাতটি গান রেকর্ডিং করছেন। কাজ করতেন সকাল ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। শুনে রাজি হলেন রুনা। লাহোরের বারি স্টুডিওতে রেকর্ডিং করা হয় গানটি। শিরোনাম ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। পাকিস্তানে নিসার বাজমির সুর করা অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রুনা। রুনাকে দিয়ে নানা ধরনের গান করিয়েছেন এই সুরকার ও সংগীত পরিচালক। পরে মুম্বাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠান রুনাকে দিয়ে নিসার বাজমির সুর করা গান গাওয়ানোর পরিকল্পনা করে। প্রতিদিন একই সুরকারের ১০টি করে তিন দিনে মোট ৩০টি গান রেকর্ড করেন রুনা। পরে তা বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্থান পায় গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ চলচ্চিত্রে সুবল দাসের সুর সঙ্গীতে। এর রেকর্ডিং হয়েছিল লাহোরে। তখন তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। দেশে আসার পর ১৯৭৬-এ প্রথম প্লে-ব্যাক করেন নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘জীবন সাথী’ চলচ্চিত্রে। এর সুর সঙ্গীত করেছিলেন সত্য সাহা। রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। এখন পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ১৮টি ভাষায় গান গাইতে পারেন রুনা লায়লা, যা বিশ্বসঙ্গীত ভুবনে সত্যিই বিরল।
১৯৮২ সালের ১ ডিসেম্বর রুনার গাওয়া বাপ্পী লাহিড়ির সুর করা গান নিয়ে ইএমআই মিউজিক কোম্পানি প্রকাশ করে সুপার রুনা অ্যালবাম। প্রথম দিনেই অ্যালবামটির এক লাখ কপি বিক্রি হয়। উপহার হিসেবে রুনাকে দেওয়া হয় গোল্ড ডিস্ক। শুধু গানের মাধ্যমেই বিচরণ নয়, তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পাকিস্তান থেকে তো বটেই, ভারত থেকেও অসংখ্য প্রস্তাব পান রুনা লায়লা। কিন্তু তখন তিনি গানকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। পরে অবশ্য চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির গল্পই ছিল রুনা লায়লাকে নিয়ে। চলচ্চিত্রে গান গেয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
১৯৭৭ সালে আব্দুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি একই সম্মাননায় ভূষিত হন ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাকের জন্য। সংগীত জীবনে ১৭টি ভাষায় অসংখ্য গান করেছেন রুনা লায়লা। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, পশতু, বালুচ, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি ভাষায় গান করেছেন তিনি। তার গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
স্মরণীয় মুহূর্ত
১. দিল্লির ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়ার সম্পাদক বিখ্যাত সাংবাদিক খুশবন্ত সিং দিল্লিতে আমার একটা কনসার্টে এসেছিলেন। পরে তিনি পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামে ওই কনসার্টের বর্ণনা শেষে লিখেছিলেন, ‘শিল্পী রুনা লায়লার গান শোনা এবং তাকে দেখার পর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটাই অনুরোধ করব, তারা যেন রুনা লায়লাকে আমাদের দিয়ে দেয়, বিনিময়ে ফারাক্কার সব পানি নিয়ে নেয়!’
২. লাহোরের বারি স্টুডিওতে একবার প্লেব্যাক করতে গিয়েছিলাম। টেক চলছে। হঠাৎ দেখি, সিঙ্গার বুথে একটি মাছি উড়ছে। গানের একটি অংশে হামিং ছিল। যেই না আমি ‘আ-আ-আ’ টান দিয়েছি, অমনি মাছিটা আমার মুখে ঢুকে গেল। গান না থামিয়ে আমি মাছিচা গিলে ফেললাম এবং গান শেষ করলাম। ব্যক্তিজীবনের আরও কিছু কথা ১. অভিনয় করার অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। রাজকাপুর পর্যন্ত আমাকে তার ছবিতে অভিনয় করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি রাজি হইনি। আমি চেয়েছি গান নিয়ে থাকতে। কিন্তু চাষী ভাই একবার এসে বললেন, আমার ছবিটি আপনার জীবনের গল্প। আমি প্রায় এক বছর কোনো সিদ্ধান্ত দেইনি। পরে আমার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বললাম। তারপর সম্মতি দিলাম।
২. আমি খুব জেদি। তবে জেদ করে আমি কখনো খারাপ কিছু করিনি। যে কোনো ভালোর জন্য আমি জেদ করেছি। আমি এখনো কাউকে ৭টায় সময় দিলে ৭টায় গিয়ে হাজির হই। সময়ানুবর্তিতার দিক দিয়ে আমি কখনো আপস করি না। ৩. রান্না করার খুব একটা সময় পাই না। তবে মাশরুম দিয়ে করা আমার একটা ডিশ আছে, যেটি বাড়ির সবাই খুব পছন্দ করে। রেসিপি বলা যাবে না। ৪. রেয়াজ বলতে যা বোঝায়, তানপুরা দিয়ে গান এখন আর করি না। তবে দেশের বাইরের বিভিন্ন শিল্পীর কঠিন গানগুলো আমি শুনি। সময় পেলে খালি গলায় রেয়াজ করি।
নাম: রুনা লায়লা জন্ম: ১৭ নভেম্বর, ১৯৫২, সিলেট রাশি: বৃশ্চিক পিতা: সৈয়দ মোহাম্মদ ইমদাদ আলী (প্রয়াত) মা: আমিনা লায়লা স্বামী: আলমগীর (চিত্রনায়ক) ভাইবোন: এক বোন দীনা লায়লা (প্রয়াত), এক ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ, সন্তান: তানি লায়লা আত্মপ্রকাশ: ১৯৬৪ সালে মঞ্চে প্রথম: ৬ বছর বয়সে।
অ্যালবাম: বাংলা, হিন্দি, উর্দু তিন ভাষায় অসংখ্য অ্যালবাম পুরস্কার: নিগার অ্যাওয়ার্ড (পাকিস্তান), স্বাধীনতা পদক, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার প্রিয় শিল্পী: আবদুল আলীম, লতা মঙ্গেশকর, নূরজাহান, আশা ভোঁসলে, মেহেদি হাসান, গুলাম আলি প্রিয় পাঁচ গান: ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘আমি নদীর মতো কতো পথ ঘুরে’, ‘কার তরে নিশি জাগো রাই, এবং ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’। –
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
