জনপ্রিয় গান
কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর ৪ রিমেক অ্যালবাম
Published
6 years agoon

ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
বাংলাঢোলের ব্যানার থেকে বরেণ্য সংগীত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর বের হচ্ছে একসঙ্গে চারটি রিমেক অ্যালবাম। আব্দুল হাদীর ৫৬ বছরের সংগীতজীবনে তার কালজয়ী গানের মধ্যে চলচ্চিত্রের গানই বেশি। তবে আধুনিক গানের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। এগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত ৪৫টি পুরনো গান নতুনভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। চারটি অ্যালবামে ঠাঁই পেয়েছে আধুনিক, চলচ্চিত্র ও দেশাত্মবোধক তার জনপ্রিয় গানগুলো। নতুন সংগীতায়োজনে গানগুলো রেকর্ডিয়ের সব কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।
গত শুক্রবার ছিল এই শিল্পীর ৭৫তম জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে একাধিক টিভি চ্যানেলে হাজির হয়েছেন গুণী এই গায়ক। এদিকে সন্ধ্যায় তার বাসায় ভক্তরা আসেন শুভেচ্ছা জানাতে। জন্মদিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গেই জন্মদিনের দিনটা কাটছে। সাধারণত জন্মদিন পালন না করলেও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কারণে চুপচাপ থাকার সুযোগ হয় না।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কথা জানতে চাওয়ায় তিনি জানান ‘ভবিষ্যতে আমার নিজের আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছা আছে। অনেকে এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করছেন। পাণ্ডুলিপি তৈরি করার জন্য তাগাদাও দিচ্ছেন।’
তিনি আরো জানান, ‘আমি বেশ কিছুদিন তারকালোকে ধারাবাহিকভাবে লিখেছি। পাঠকদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পেয়েছি। তাই আবার নতুন করে লেখা শুরু করেছি।’
৭৫তম জন্মদিনে দাঁড়িয়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব করছেন না সৈয়দ আবদুল হাদী।
তিনি বলেন, ‘পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কখনও ভাবি না। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে, গান গেয়ে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। চলার পথে একটা ব্যাপারে সচেতন ছিলাম, ভালো মানের গান করতে হবে।’
https://www.youtube.com/watch?v=0u1lPfeDyQY
উল্লেখ্য, বাংলা গানের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ, জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। তার গাওয়া কালজয়ী অনেক দেশের গানই শ্রোতাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। তার জন্ম বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায়। বেড়ে উঠেছেন আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এবং কলকাতায়। তবে তার কলেজ জীবন কেটেছে রংপুর আর ঢাকায়। বাবা সৈয়দ আবদুল হাই। তার বাবা গান গাইতেন আর কলেরগানে গান শুনতে পছন্দ করতেন। বাবার শখের গ্রামোফোন রেকর্ডের গান শুনে সেই কৈশোর জীবন থেকেই সঙ্গীত অনুরাগী হয়ে উঠেন সৈয়দ আবদুল হাদী। ছোটবেলা থেকে গাইতে গাইতে গান শিখেছেন। তারপর আর থেমে থাকেননি। নিরন্তর গান করে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ১৯৫৮ সালে সৈয়দ আবদুল হাদী ভর্তি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন সৈয়দ আবদুল হাদী। তখনকার সিনেমায় প্লেব্যাক মানেই ছিল উর্দু ছবিতে গান গাওয়া। তবে ১৯৬৪ সালে সৈয়দ আবদুল হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন। সিনেমার নাম ছিল ‘ডাকবাবু’। মো. মনিরুজ্জামানের রচনায় সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে একটি গানের মাধ্যমে সৈয়দ আবদুল হাদীর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। বেতারে গাওয়া তার প্রথম জনপ্রিয় গান ‘কিছু বলো, এই নির্জন প্রহরের কণাগুলো হৃদয়মাধুরী দিয়ে ভরে তোলো’ চমৎকার রোমান্টিক এ গানটি গেয়েছিলেন ১৯৬৪ সালে আবদুল আহাদের সুরে। সালাউদ্দিন জাকি পরিচালিত ঘুড্ডি চলচ্চিত্রের গানে সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছিলেন লাকী আখ্ন্দ। এই ছবির খুব জনপ্রিয় গান ‘সখি চলনা, সখি চলনা জলসা ঘরে এবার যাই’- গেয়েছেন সৈয়দ আবদুল হাদী। চলচ্চিত্রের কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই সৈয়দ আবদুল হাদীকে সবাই চেনেন-জানেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত গেয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত (১৫০ তম) জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় সৈয়দ আবদুল হাদীর প্রথম রবীন্দ্র সংগীতের একক অ্যালবাম ‘যখন ভাঙলো মিলন মেলা’। সৈয়দ আবদুল হাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে অনার্স পড়ার সময় সুবল দাস, পি.সি গোমেজ, আবদুল আহাদ, আবদুল লতিফ প্রমুখ তাকে গান শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। তার বাবা ছিলেন ইপিসিএস (ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস) অফিসার। বিটিভির প্রথম চারজন প্রযোজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় মাস্টার্স শেষ করে লন্ডনে ওয়েল্স ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরীয়ান হিসেবে অবসর নিয়েছেন সৈয়দ আবদুল হাদী। পরপর পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। এর মধ্যে রয়েছে – গোলাপী এখন ট্রেনে – ১৯৭৮, সুন্দরী – ১৯৭৯, কসাই – ১৯৮০, গরীবের বউ – ১৯৯০ এবং ক্ষমা ১৯৯২। তিনি বর্ণাঢ্য সংগীতজীবনে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘যেও না সাথী’, ‘চোক্ষের নজর এমনি কইরা’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘চলে যায় যদি কেউ’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’ প্রভৃতি। আমরা তার দীর্ঘজীবন কামণা করি। সূত্র: আরটিএনএন
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
