বিনোদন
কেমন আছেন চিত্র নায়িকা সুচন্দা
Published
5 years agoon

সৃজনমিউজিক ডেস্ক :
বয়স বাড়ছে ঘড়ির কাটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। এখন আর আগের মতো স্মৃতিশক্তি কাজ করে না। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখেন। চিত্রময় জীবনের কতটা বাক বদল দেখেছেন, সেটা তিনি নিজেই জানেন। পাঠক, বলছি ষাটের দশকের দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুচন্দার কথা। গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যার পরে কথা হচ্ছিল গুণী এ অভিনেত্রীর সঙ্গে। সে সময় তিনি মহাখালী ডিওএইচএস এর বাসায় বসে আগামী এক সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করছিলেন।
কেমন আছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আছি মোটামুটি। জীবন চলে যাচ্ছে কোন রকম। এখন তো আর খুব ভালো থাকার মত সময় না। তারপরও ভাল আছি। পারিবারিক ব্যস্ততায় দিন কাটে। চলচ্চিত্রেরও তো সে রকম অবস্থা নেই; যার কারণে ওখানেও কিছু করতে পারছি না, করছিও না। ফলে পারিবারিক কাজ, সামাজিক কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকছি বেশি। এসবের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি।’
১৯৬৪ সালে কাজী খালেক পরিচালিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে প্রথম অভিনয় করেন সুচন্দা। ১৯৬৬ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত তাকে নায়িকা করে নির্মাণ করেন ‘কাগজের নৌকা’। চলচ্চিত্রটি সফল হলে রুপালি জগতে সুচন্দার পথচলা মসৃণ হয়। একই বছর খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান সুচন্দাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘বেহুলা’। চলচ্চিত্রটি বড়মাপের দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পায়। এরপর আশির দশক পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেন শতাধিক চলচ্চিত্রে।

তিন বোন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা
এখন তো আর ফিল্মে অভিনয় করেন না, দেখা মিলে না ফিল্মি আড্ডাতেও। যখন একা থাকেন, তখন নিশ্চয়ই ফিল্ম নিয়ে কাটানো সেই ব্যস্ত সময়গুলোর কথা মনে পড়ে?
সুচন্দা বলেন, ‘যখন কোন কাজ থাকে না, তখন সে সময়গুলোর কথা ভীষণ মনে পড়ে। আমার শিরা-উপশিরা, রক্ত, মাংসের সাথে জড়িয়ে আছে ফিল্ম। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলোতে আমি ফিল্মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তবে আমার জীবনে নানান চড়াই-উৎরাই গেছে। আর বয়স হওয়ার কারণে কিছু সময় বিভিন্ন অবসাদেও ভুগি। আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের অনেকেই তো এখন পৃথিবীতে নেই, তাদের কথা খুব মনে পড়ে। এখনকার সময়ের লোকদের বিভিন্ন কাজ-কর্মের কথা শুনি; দেখা তো আর হয় না, তখন তাদের কথা আরও বেশি বেশি করে মনে পড়ে।’
সুচন্দা মনে করেন, ‘এখনকার সময়ে চলচ্চিত্রকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসেন, এমন মানুষ হাতে গোনা। আর ইন্ডাস্ট্রিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার মানুষেরও বড়ই অভাব রয়েছে। যারা সত্যিকার অর্থেই চলচ্চিত্রকে ভালোবাসতেন তাদের মতো মানুষ আজ আর ইন্ডাস্ট্রিতে নেই বলেই চলে। খুবই কঠিন সময় পার করছে চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত সব ধরনের লোক। এমনও লোক আছে একদম বেকার, তাদের কথা ভাবলেও কষ্ট লাগে। এক সময় তারা কত সুন্দরভাবে কাজ করতেন’। বললেন সুচন্দা।
২০০৫ সালে স্বামী জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের আলোকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন এবং সেরা প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন এ অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে জানালেন, যে সব চলচ্চিত্রের পরিচালক কিংবা মানুষেরা আজও সবার হৃদয় নক্ষত্র হয়ে জ্বলজ্বল করছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সুচন্দার কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি বলেন- ‘প্রত্যেকটি লোক এত ভালো ছিলেন, তা কি আর বলে বুঝাতে পারব?’ যদিও বলি মানুষ ভাববে গল্প; তবে এগুলো আসলে গল্প নয়, এগুলোই সত্যি, বাস্তব।’
বর্তমানে চলচ্চিত্র অঙ্গনের একটি বিষয় সুচন্দার চোখ ভীষণভাবে আটকে গিয়েছে, তা হলো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেন না এ অভিনেত্রী। এমনটাই কথা প্রসঙ্গে জানালেন তিনি।

চিত্র নায়িকা সুচন্দা
সুচন্দা বলেন,‘চলচ্চিত্রের শিল্পীদেরকে সাধারণ মানুষ-দর্শক অন্যরকমভাবে ভাবেন, স্বপ্ন কন্যা কিংবা স্বপ্নের পুরুষ বলতে পারেন। অন্তত তাদের এই ধরনের কলহে জড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। আমাদের সময়ও নানা ঝামেলা ছিল। তবে সেটা নিজেদের মধ্যে ছিল। সেটা বাইরের লোকেরা জানত না। নিজেরাই সমাধান করে ফেলতাম। বাইরের লোক জানবে সেটা ভীষণ লজ্জার বিষয় ছিল।’
‘এখনকার শিল্পীদের মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্যতা বোধ, ভালোবাসাবোধ আগের মতো দেখি না। আমাদের মধ্যে একদিন দেখা না হলে মনে হতো কিছুই ভাল লাগছে না। শুটিং নাই; কারও সঙ্গে দেখা হবে না, তাও আমরা এফডিসি যেতাম। এফডিসিতে না গেলে আমাদের পেটের ভাতই হজম হত না। সেগুলো মনে পড়লে এখন ভীষণ কষ্ট লাগে।’
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে নির্মিত জহির রায়হানের পরিচালনায় ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এফডিসি’র জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে ‘জীবন থেকে নেয়া এবং জহির রায়হান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন ছবির চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা আমজাদ হোসেন, অভিনেতা রাজ্জাক ও অভিনেত্রী সূচন্দা এবং চিত্রগ্রাহক আফজাল চৌধুরী। সেদিনই শেষ এফডিসিতে গিয়েছিলেন সুচন্দা।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
