সাক্ষাৎকার
গান গেয়ে পাওয়া সন্মানী মুক্তিযুদ্ধে ব্যয় হতো
Published
4 years agoon

তারেক আনন্দ :
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। সম্মুখযুদ্ধে যারা অস্ত্র হাতে দেশ স্বাধীনের জন্য মরণপণ লড়াই করেছেন তাদের উদ্ধুদ্ধ করতে শব্দসৈনিকের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আজ মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ।
যুদ্ধ শুরু হলো। আপনি কখন ঢাকা ছাড়লেন?
আমি ঢাকা ছাড়ি ২০ এপ্রিল। এরপর আগরতলা হয়ে কলকাতায় যাই ২৩ এপ্রিল। ওখানে গিয়ে শুনলাম ১৪৪ নাম্বার লেলিন স্মরণীতে ‘বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন গঠিত হয়েছে। সেটা ছিল ওখানকার বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিক দীপেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসা। উনি আমাদের জন্য উনার বাসার নিচ তলাটা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
গান গাওয়া শুরু হলো কীভাবে?
আমাদের কাজ ছিল শরণার্থী ক্যাম্পে ক্যাম্পে গান গাওয়া। গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্ভুদ্ধ করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরও শক্তিশালী করা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতে মঞ্চ করে আমাদের গান গাওয়ানো হতো। আমরা ৯ মাসে পুরো পশ্চিম বঙ্গতেই ঘুরে ঘুরে গান গেয়েছি। আমরা গান গেয়ে যে সম্মানী পেতাম সেই টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের জন্য হাড়ি-পাতিল, খাবার, পানি, কম্বলসহ নানা দরকারি জিনিস কেনা হতো।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গাওয়ার সুযোগ হলো কখন?
সব জায়গাতে গান গাইছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে গান গাওয়ার ডাক আসছে। মোটামুটি নাম ডাক হয়ে গেল যখন, তখনই সমর দা (সমর দাস) ডাকলেন। বালিগঞ্জে আমরা গেলাম। একসঙ্গে আমরা আটটি গান রেকর্ড করে দিয়ে এসেছিলাম। এর পরের বার যখন গিয়েছিলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পাশে আমাদের জাতীয় পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে আমরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম। এরপরে আবার আমাদের ডাকলেন, কিন্ত আমরা যেতে পারিনি। তখন আমরা প্রায় ১৪টা গান করি। টালিগঞ্জ স্টুডিও থেকে রেকর্ড করে দিই। সেই গানগুলো প্রায় ছয় মাস বেজেছে।
সেসব দিনের কথা নিশ্চয় খুব বেশি মনে পড়ে?
এটা আমার বিরাট পাওয়া। দেশের জন্য একটা কিছু করতে পেরেছি। দেশকে স্বাধীন করার জন্য, আমাদের নিজস্ব পরিচয় আমাদের পতাকার জন্য কিছু করতে পেরেছি। আমাদের চিন্তায় ছিল একটা স্বাধীন দেশ হবে। আমরা মনের মতো করে আমাদের দেশ গড়ব। আমাদের দেশকে ভালবাসব। এত রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা, এ রক্ত কখনই বৃথা যেতে পারে না।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে কিছু বলুন।
স্বাধীনতার ৪৫ বছরে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমি মনে করি আমাদের তরুণ প্রজন্ম আরও অনেক দূর এগিয়ে নেবে আমাদের দেশকে। নিজেদের শেকড়কে শক্তিশালী করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াও। দেশের মুখ উজ্জ্বল কর।
এখনকার ব্যস্ততার কথা জানতে চাই…
সম্প্রতি ৪টি সিডি একসঙ্গে বের করলাম। মিশ্র, নজরুল এবং হামদ-নাত এর। আজ দেশটিভির কলের গানে সংগীত পরিবেশন করব। তবে নজরুল সংগীত নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ অনেক কমে গেছে। কেউ স্পন্সর করতে চায় না। এদিক থেকে সরকারের, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রযোজনা সংস্থার এগিয়ে আসা উচিত।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
