সাক্ষাৎকার
চট্টগ্রাম জয় করে প্রথম ফেসবুক লাইভে মধুরা
Published
4 years agoon

সৃজন মিউজিক প্রতিবেদক
ওপার বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী মধুরা ভট্টাচার্য। ওপার বাংলায় যার পরিচিতি মেলোডি কুইন শিল্পী হিসেবে। সঙ্গীতের সব শাখায় বিচরণ করা এই শিল্পী বাংলাদেশ সফরে এসে গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ক্লাবে আয়োজিত একক সঙ্গীত সন্ধ্যায় অংশ নেন। টানা ২ ঘণ্টা তিনি সুর আর ছন্দে শ্রোতাদের সুরের ভেলায় ভাসান। কলকাতায় ফিরে গিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজের দীর্ঘ সঙ্গীত ক্যারিয়ারে প্রথম ফেসবুক লাইভে অংশ নেন মধুরা ভট্টাচার্য। এরপর যা হবার তাই। মধুরা বলে কথা।
টানা আধাঘণ্টা ফেসবুক লাইভে গান-গল্পে সঙ্গীত পিপাসুদের মাতিয়ে রাখেন মধুরা ভট্রাচার্য। লাইভে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার ফেসবুক পাতায় চোখ রাখতে শুরু করেন হাজার হাজার শ্রোতা-দর্শক, ভক্ত, সুহৃদ, স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা। তারা প্রিয় শিল্পীকে প্রথম ফেসবুক লাইভে দেখে নিজেদের পছন্দের গান শুনতে একের পর এক অনুরোধ করতে থাকেন। অনেকে তার শুভ কামনা করে কমেন্টের পর কমেন্ট করতে করেন। ইতোমধ্যে তার ফেসবুক লাইভে ১ হাজার ৭শ জন কমেন্ট করেছেন। লাইভ শেয়ার করেছেন ৬৫ জন। আর ইতোমধ্যে প্রায় ৯ হাজার দর্শক তার ফেসবুক লাইভ দেখেছেন।
শুধু ওপার বাংলা থেকেই নয়, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মধূরা ভক্ত তার ফেসবুকে লাইভে নিজেদের পছন্দের গান শুনতে কমেন্ট করেছেন। তাকে শুভ কামনা করে কমেন্টও কম করেননি বাংলাদেশি শ্রোতারা। বাংলাদেশ থেকে সবুজ ইউনুস নামে একজন সাংবাদিক যিনি দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক তিনি লিখেছেন, Expression so sweet। জাহিদুর রহমান নামে আরেকজন সাংবাদিক যিনি আছেন এনটিভি টেলিভিশনে। তিনি লিখেছেন excellent। বাংলাদেশের আরেক শ্রোতা লিখেছেন ফাটাফাটি। Pooja Sarkar নামে আরেকজন লিখেছেন u hv such a sweet voice। এভাবেই কমেন্টের পর কমেন্টে ভরে গেছে মধুরার ফেসবুক পাতা।
সৃজনমিউজিকবিডির সম্পাদক শাহজাহান আকন্দ শুভ মধুরার কাছে জানতেই চেয়েছিলেন কেমন লাগল প্রথম ফেসবুক লাইভ?
মধুরার জবাব ছিল ঠিক এরকম—বেশ মজা লাগল। এত গানের অনুরোধ যে গাইতে গাইতে অনেক রিকোয়েস্ট চোখে পড়ছিল না।

চট্টগ্রাম ক্লাবে সঙ্গীত পরিবেশন করছেন মধুরা ভট্টাচার্য
স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের সূচনা সঙ্গীত ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ মধুরার গাওয়া। এই গান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গান মধুরা ভট্টাচার্যকে বাংলাদেশি সঙ্গীত পিপাসুদের বিশেষভাবে পরিচিত করে তুলেছে। চট্টগ্রাম ক্লাবে পারফর্মকালে একাধিক শ্রোতা তাকে বোঝেনা সে বোঝেনা গানটি গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। শ্রোতাদের মনরক্ষাও করেন তিনি।
স্টার জলসা, জিবাংলাসহ ভারতীয় বেশকয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত অর্ধ শতাধিক সিরিয়ালের টাইটেল সং মধুরা ভট্টাচার্যের গাওয়া। শ্রোতাপ্রিয় এই শিল্পী ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে মুক্তি পাওয়া ৫০টির বেশি সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন। বাংলাদেশের নায়ক সাকিব খান অভিনীত শিকারী ছবিতে মধুরা ভট্টাচার্য অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে একটি ররীন্দ্রসঙ্গীতে সর্বশেষ কণ্ঠ দেন।
কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম এই গুনী শিল্পী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো। গান পাগল। চট্টগ্রাম ক্লাবে টানা ২ ঘণ্টা প্রোগ্রাম করে বুঝলাম তারা শিল্পীকে সন্মান করতে জানেন। অনুষ্ঠানকালে সেখানকার শ্রোতাদের অভূতপূর্ব সাড়া আমাকে মুগ্ধ করেছে। শুধুমাত্র কাঁটাতারের বেড়া বাংলাদেশকে ভাগ করেছে। কাঁটাতারের বেড়া না থাকলে বাংলাদেশ আর ভারতের কৃষ্টি কালচারসহ অনেক কিছুতেই অদ্ভুত মিল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সেখানকার মানুষ খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের মানুষ ভালো শ্রোতা। এররকম শ্রোতা পৃথিবীর অন্য কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। বাংলাদেশের সকল শ্রোতাকে আমি প্রণাম জানাই। এখানে অনেক সঙ্গীত বোদ্ধা যেমন আছেন; তেমনি সঙ্গীতপ্রেমীরও অভাব নেই। ফেসবুক টুইটারে তার প্রমাণও পাওয়া যায়। বাংলাদেশের নানা বয়সের বেশকিছু শ্রোতার ম্যাসেজ ও কমেন্ট পাই অহরহ। আরও ভাল লাগে যখন তারা আমার নিজের প্লেব্যাক শুনে নিজের ভালো লাগার কথা জানান।
প্রথম স্টেজ প্রোগ্রাম করতে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়েই মধুরা ভট্টাচার্য চট্টগ্রামে আসেন। এখানে এসে চট্টগ্রামের শহরের গলফ ক্লাবসহ আরও বেশকিছু জায়গায় ঘোনে। যান কয়েকটি মন্দিরে। এ প্রসঙ্গে মধুরা বলেন, চট্টগ্রাম শহরটা খুব সুন্দর। তবে কলকাতার মতো এখানেও ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে। ট্রাফিক জ্যামের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেক জায়গায় ঘুরতে পারিনি। ইচ্ছা ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে যাওয়ার। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে জেতে পারিনি। এক্ষেত্রে একটা আক্ষেপ রয়েই গেল। চট্টগ্রামে এসে চট্টগ্রাম ক্লাবে আমার বাবা-মায়ের বিবাহ বার্ষিকী পালন করলাম। এটা একটা বড় স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার জীবনে।
২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্রথমবারের মতো ২টি সিনেমার গান রেকর্ড হয়। বিখ্যাত শিল্পী উদিত নারায়ণ এবং বাবুল সুপ্রিয়’র সাথে। গান ২টি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী অভিনীত মহাকাল সিনেমার জন্য করা হয়। এই দুই গানের সুর করেছিলেন দেবজিৎ রায়। আর গানের কথা লিখেছিলেন প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি সিনেমায় প্লেব্যাক করেছি।
মধুরা বলেন, প্রফেশনালি গান করা শুরু করি ২০০৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে। তখন আমি অনেক ছোট। পরিচালক দেবাংশু সেনগুপ্ত (প্রয়াত) তার একটি টিভি সিরিয়ালে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। সেই থেকে আমার পথচলা শুরু হয়। যে পথপরিক্রমায় আজ আমি মধুরা হিসেবে তৈরি হয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে মধুরা ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের গান তার খুব প্রিয়। সাবিনা ইয়াসমীনের গাওয়া ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’ গানটি তার বিশেষ পছন্দের। এছাড়া প্রয়াত ফিরোজা বেগম, আইয়ুব বাচ্চুর গান খুব ভালো লাগে। এই প্রজন্মের শিল্পী কনার একটি গান মধুরার পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে। মধুরা বলেন, বাংলাদেশে এখনও অনেক ভালো ভালো গান তৈরি হচ্ছে।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
