বিনোদন
চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির ঘুম ভাঙছে না
Published
5 years agoon

ফয়সাল আহমেদ :
অনেক আগেই যৌবন হারিয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। এখন হারিয়েছে জৌলুস। কারণ কারো সঙ্গে কারো সমন্বয় নেই। যে যার মতো কাজ করে যাচ্ছেন। আজ পরিচালক সমিতি একজনকে নিষিদ্ধ করলতো কাল শিল্পী সমিতি আরেকজনকে নিয়ে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিলো। এই হলো ঢালিউডের বর্তমান চিত্র। আর প্রযোজক সমিতিতো নামে আছে। অথচ চলচ্চিত্রের খারাপ সময়ে সবচেয়ে বড় অবদান এ সমিতিরই রাখার কথা ছিল। কিন্তু সমিতির ঘুম ভাঙছে না। কারণ চলচ্চিত্রের অন্যান্য সংগঠনের নির্বাচন নিয়মিত অনুষ্ঠিত হলেও হচ্ছে না শুধু চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। নির্বাচন না হওয়ার কারণ এ সমিতির নেতাদের মধ্যেই চলছে দ্বন্দ্ব। চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সংগঠনেই যদি এ হাল হয়, তা হলে অন্য সংগঠনগুলোর কী অবস্থা সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে।
অথচ এ সমিতির নেতা যখন মাসুদ পারভেজ, কে এম আর মঞ্জুর ছিলেন তখন কিন্তু তারাই সুষ্ঠুভাবে চালিয়েছেন পুরো চলচ্চিত্র শিল্প। কোথাও কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেই প্রযোজক সমিতি গিয়ে সেটা মিটিয়ে আসত। সর্বশেষ এমনটা দেখা গিয়েছে নাসিরুদ্দিন দিলুর আমলে। তিনি যখন নির্বাচিত সদস্য ছিলেন তখন চলচ্চিত্র ভালোভাবেই চলছিল। তিনি এখনো আছেন। কিন্তু যেহেতু সমিতি নেই তাই তার পক্ষেও কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে চলচ্চিত্রের দুর্দশা শুরু হয়েছে আসলে অশ্লীল সিনেমা নির্মাণের সময়ে। তখন যারা প্রযোজক ছিলেন তারাই চলচ্চিত্র ধ্বংস করে ছেড়েছেন। ধ্বংস করে অনেকেই ছেড়েছেন চলচ্চিত্র ব্যবসা। এ তালিকায় নাম চলে আসে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম, শরিফুদ্দিন খান দিপু, সামসুল আলম, মোহাম্মদ হোসেন, আবদুল আলীমসহ অনেকেরই। অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণ করে নিজের পকেট ভরে তারা আজ নেই। আর এখন ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে, কিন্তু প্রযোজক নেই। নেই এ সমিতির কোনো কার্যক্রম।
সমিতি না থাকলেও নেতা আছে। আর এসব নেতার অনেকেই এখন নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশ্ন আসতে পারে, তার পরও কি ছবি নির্মাণ থেমে আছে? না, নেই। কারণ আগে প্রযোজক আসত পরিচালকের কাছে, এখন পরিচালক খুঁজে বেড়ায় প্রযোজক। খুঁজে আনা প্রযোজক একটি ছবি করার পর আর নতুন করে বিনিয়োগ করতে চান না। কারণ লগ্নি করা টাকা উঠে আসে না।
বর্তমান সময়ে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়াই ছবিতে বিনিয়োগ করছে। এর কর্ণধার আবদুল আজিজও কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলা ছবিতে আর বিনিয়োগ করবেন না। প্রয়োজনে ভারতে গিয়ে হিন্দি ছবি নির্মাণ করবেন। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র ব্যবসায় ধস নামার পেছনে নানা কারণ-অনিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বুকিং এজেন্ট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও প্রযোজক সমিতির দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়তা।
এখন ছবিপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যবসা মাত্র ৪০ লাখ টাকা। তা হলে কোটি টাকা ব্যয় করে একটি ছবি নির্মাণ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে কে আসবেন! এ অবস্থার উত্তরণে নির্মাণব্যয় কমাতে হবে। দেশে কমপক্ষে একশটি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে। সিনেমা হলের পরিবেশ ভালো করতে হবে। ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। প্রযোজক সমিতিকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। বুকিং এজেন্ট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রতিরোধ করতে হবে। গল্প, নির্মাতা আর শিল্পীর অভাবও দূর করতে হবে।
আধুনিক প্রযুক্তির চলচ্চিত্র নির্মাণে সব সুযোগ-সুবিধা দেশেই থাকতে হবে। পাইরেসি রোধে সার্ভার ব্যবস্থা চালু করতে সরকারের সহযোগিতা পেতে হবে। আবার আমাদের এখানে নেতার সংখ্যা বেশি। কেউ বিনিয়োগ করবেন না, আবার প্রযোজক সমিতির নেতা হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। প্রযোজক সমিতি না থাকলে প্রযোজক আসবে কোথা থেকে! আমরা চাই এখানে যারা নিয়মিত বিনিয়োগ করেন, তারাই সমিতিটি চালাবেন।’
পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এখন ভালো প্রযোজক নেই। প্রফেশনাল প্রযোজকরা এখন ছবি প্রডিউস করছেন না। একের পর এক প্রদর্শক ও সিনেমা মালিকদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিদায় নিয়েছেন তারা। ন্যায্য পাওনা প্রযোজকের হাতে আসে না। অনন্ত জলিলের মতো মানুষও তো টিকতে পারলেন না।
তিনি বলেন, এখন যারা সিনেমা প্রডিউস করতে আসছেন, তারা একেবারে নতুন। ওয়ান-টাইম। দুয়েকটা ছবি করার পর আর সিনেমা প্রডিউস করছেন না। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন, ‘মেন্টাল’ ছবির নির্মাতা নিজের ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি বিক্রি করে সিনেমাটা করল। এখন শুনি সব হারিয়ে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান।
একই কথা বলেছেন চিত্রনায়িকা পপি। তিনি বলেন, ‘ভালো ছবি নির্মাণ করতে প্রফেশনাল প্রডিউসার লাগবে। এখন এসে যদি একটি ছবির বেশি প্রডিউস না করেন তা হলে চলচ্চিত্রের এ অবস্থার উন্নতি হবে না।’
পপি সত্যিই বলেছেন, যদি প্রযোজক বিনিয়োগই না করেন তা হলে কিন্তু এ অবস্থার উন্নতি হবে না। এ প্রসঙ্গে পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরও বলেছেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘বছরে একটি বা দুটি হিট-সুপারহিট ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রের সংকট কাটবে না। আর বেশি বেশি সুপারহিট ছবি নির্মাণ করতে হলে বড় প্রযোজক দরকার।’
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু জানান, প্রযোজক যদি মূলধনই ফেরত না পান তা হলে চলচ্চিত্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করার তো কারণ নেই। আগে হিট আর ফ্লপ বলে দুটি শব্দ ছিল। এখন বছরে একটি কি দুটি ছাড়া বাকি ছবি চলেই না। নকলের নৈরাজ্য আর পুরনো ফর্মুলা থেকে এখনকার নির্মাতারা বেরিয়ে আসতে পারছেন না। সিনেমা হলে ভালো পরিবেশ নেই। ডিজিটালের নামে চলছে প্রতারণা। সরকার, চলচ্চিত্রের ও সাধারণ মানুষ মিলে টার্গেট করতে হবে ২০ টাকা হারে প্রতিটিকিটে ১ কোটি মানুষ ছবি দেখবে। না হলে চলচ্চিত্র ব্যবসায় কেউ আর বিনিয়োগ করবেন না।
প্রযোজকদের কথার মানে দাঁড়ায়, চলচ্চিত্র ব্যবসা এখন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যে, পুঁজিই ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না। পাইরেসি, ভালো নির্মাতা, গল্প, শিল্পী আর প্রদর্শনের অব্যবস্থার কারণে চলচ্চিত্রের ব্যবসা আর অনুকূলে নেই। তাই সবাই আস্তে আস্তে এ ব্যবসা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। তবু অনেকে আশায় বুক বেঁধে আছেন, প্রযোজক-পবিবেশক সমিতির নির্বাচন হলে হয়তো এ সংকট কাটবে। কিন্তু সেটা নিয়েই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কবে হবে এ সমিতির নির্বাচন? এর সদুত্তর কেউই দিতে পারেননি।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
