জন্মদিন আসা মানেই জীবন থেকে একটি বছর চলে যাওয়া : এন্ড্রু কিশোর

আজ প্লে-ব্যাক সম্রাটখ্যাত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে চেয়েছেন সবার কাছে আশীর্বাদ। তিনি জানান, আমি যেন সুস্থ থাকতে পারি, ভালো থাকতে পারি। বিস্তারিত সাক্ষাৎকারে সৃজন মিউজিককে বলেছেন অনেক কথা।
জন্মদিন এলে আপনার কেমন লাগে?

জন্মদিন আসা মানেই জীবন থেকে একটি বছর চলে যাওয়া। এটা ভাবলেই মনে হয় সময় কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কখনই জন্মদিনে বিশেষ কিছুই করি না। যে কারণে যথারীতি এবারের জন্মদিনেও কিছু করা হচ্ছে না। তবে পারিবারিক নিয়ম অনুযায়ী আজ রাত ১২টায় (গতকাল রাত) স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু ইতি, ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক ও মেয়ে মিনেম এন্ড্রু সংজ্ঞাকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটার পরিকল্পনা রয়েছে।
ছোটবেলার স্মৃতি কি মনে পড়ে?

খুব ছোটবেলার কথা বলতে গেলে শুধু এতটুকুই বলতে পারি যে, আমার বাবা মা দুজনেই রাজশাহীতে হাসপাতালে চাকরি করতেন। তাদের উপার্জন ছিল খুব সীমিত। সেই সীমিত আয়ের মধ্য থেকেই বাবা-মা আমাকে জন্মদিন উপলক্ষে নতুন জামা কাপড় কিনে দিতেন। সেই জামা কাপড় পরেই জন্মদিন আমার অনেক আনন্দে কাটত।
পরিবার-পরিজন নিয়ে কেমন আছেন?

পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমি অনেক সুখী মানুষ। গানের জন্য তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এখন তাদেরই বেশি সময় দিচ্ছি। এখন পরিবারের সদস্যরাই আমার সব। এরই মধ্যে আমার মেয়ে সংজ্ঞা চাকরি জীবনে প্রবেশ করেছে। স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বেশ ভালো আছি।
আপনার গানের অসংখ্য ভক্ত। তাদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান?

জন্মদিনে সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করি যেন সবসময় সুস্থ থাকতে পারি, ভালো থাকতে পারি।
বর্ণাঢ্য সংগীত জীবনে জন্মদিনের কোনো মজার ঘটনার কথা মনে পড়ে?

চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার পর থেকে শুরু করে দীর্ঘ সংগীত জীবনে রাজধানীর মগবাজারের শ্রুতি রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এক জন্মদিনে গান রেকর্ডিংয়ের সময় বন্ধুতুল্য সুরকার সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল কেক এনে জন্মদিনের আয়োজন করেছিলেন। সেই সময় সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। এই মুহূর্তে ওই ঘটনার কথাই মনে পড়ছে।
সংগীতের বর্তমান ব্যস্ততার কথা জানতে চাই।

সত্যি বলতে কী, যখন যে কাজ আসে সে কাজ বুঝেশুনে ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। এই মুহূর্তে কিছু মিশ্র অ্যালবামের কাজ করছি, কিছু সিনেমার গানও করছি। তবে বড় যে কাজটির জন্য অপেক্ষা করছি আমি, সেটি হচ্ছে সৈয়দ শামসুল হকের রেখে যাওয়া চারটি গান। এই চারটি গান এখনো আমার হাতে আসেনি। সুর সংগীতায়োজন করবেন আলম খান। এই চারটি গান করতে পারলে আমার সংগীত জীবনের ক্যারিয়ারের উল্লেখ করার মতোই একটি বিষয় হবে বলে আমি মনে করি। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছি আমি।