জয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিদ্যা বালান

সৃজনমিউজিক প্রতিবেদক :

“অন্নপূর্ণা দাসের চরিত্রে কি অপূর্ব অভিনয় করেছে জয়া আহসান! একটি সাধারণ মেয়ে, যে মুসলিম ছেলের ওপর ভরসা করে ঘর ছেড়েছিলো, শহর ছেড়ে বহুদূর দেশ সিরিয়ার হোমস শহরে চলে গিয়েছিলো। সেই দুঃসাহসী মেয়ের জীবনে নেমে এলো অন্ধকার। যুদ্ধের সময়ে নিরুদ্দেশ স্বামী, কোমায় ছোট্ট মেয়ে, বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এক নারীর কি অসীম সাহসী লড়াই দেখালো ‘ভালোবাসার শহর’, বলে বোঝানোর ক্ষমতা নেই আমার! কী অভিনয় করে দেখালেন জয়া!” সম্প্রতি জয়া আহসান অভিনীত ‘ভালোবাসার শহর’ ছবিটি দেখে এমনটাই জানালেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা ছবির অন্ধভক্ত আমি। এমন অনেক বাংলা ছবি আছে, যা আমি আজও দেখি। অনেক বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি, সেটি ভালো করেই জানেন আপনারা। আমি তো সবসময় বলি, বাংলা আমার দ্বিতীয় ভাষা। আনন্দের শহর কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম। ‘ভালোবাসার শহর’ দেখার ইচ্ছেটা সেই ভাষার জন্যে, ভালোবাসা থেকেই।

অভিনেত্রী জয়া আহসান

বিদ্যার ভাষ্য, ছবিটি দেখার পর কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। চুপ করে বসেছিলাম। ভেতরে ভেতরে চলছিলো একটি তীব্র অস্থিরতা। এ কোন পৃথিবীর দৃশ্য দেখলাম আমি! যুদ্ধবিধ্বস্ত হোমস শহরের ছবি আমাকে ঝাঁকুনি দিয়ে গেলো। আমরা এখনও কতোখানি অজ্ঞতা, কতো দুর্বল স্মৃতি নিয়ে বসবাস করি এই পৃথিবীর বুকে! ভাবি, নিজেরা নিরাপদ থাকলেই যথেষ্ট!

এদিকে আলাদা করে জয়ার প্রশংসা করেছেন বিদ্যা বালান। তিনি বলেন, “রাজকাহিনী’ ছবিতে জয়ার অভিনয় আমি দেখেছি। ওর মতো শক্তিশালী অভিনেত্রী খুব কমই দেখেছি। জয়ার জন্যে আমার পক্ষ থেকে অনেক হাততালি পাওনা রইলো।”

ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ভালোবাসার শহর-এ জয়ার পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, অরুণ মুখার্জি ও সোহিনী সরকার।