জয়ের সুর- ও সংগীতে রূপঙ্কর

ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
গায়ক এবং নির্ঝর ব্যান্ডের দলনেতা ছিলেন জয় শাহরিয়ার। চার বছর বয়স থেকে তিনি গান করতেন সূর্যমুখী শিশু-কিশোর সংগঠনে। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর মা। ওস্তাদ সোহরাব হোসেন এবং এম এ মান্নানের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন তিনি। তবে পপ বা রক গানের প্রতি আকর্ষণ জন্মায় নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের ব্যান্ডগুলোর গান শুনে। ওই সময়টা ছিল বাংলাদেশের ব্যান্ড ইতিহাসের স্বর্ণযুগ। সেটার প্রভাবেই হয়তো এসএসসি পরীক্ষার পর বন্ধুরা মিলে নির্ঝর নামের একটি ব্যান্ডও গড়ে তোলেন। ২০০৬ সালে বাজারে আসে নির্ঝরের প্রথম অ্যালবাম স্বপ্নঘুড়ি। এর মধ্যে চলছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে লেখাপড়া। ব্যান্ডের বাইরে প্রথম ক্যানভাস নামের একটি অ্যালবামে গান করেন। তারপর বের হয় নির্ঝরের দ্বিতীয় অ্যালবাম বৃষ্টিশহর। গানের পাশাপাশি এক সময় নিজের গানে নিজেই সুর করা শুরু করেন তিনি।২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় জয় শাহরিয়ারের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সত্যি বলছি।’ বিশেষ করে, ‘সত্যি বলছি’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অগ্নিবীণা বাজারে এনেছে জয় শাহরিয়ারের দ্বিতীয় একক অ্যালবাম এখনই। অ্যালবামে জয় তাঁর ভাবগুরু এরিক ক্ল্যাপটনের ‘ওয়ান্ডারফুল টুনাইট’ ছাড়া বাকি গানগুলো লিখেছেন ও সুর করেছেন নিজেই। তারপর থেকে নিয়মিতই সুর করতেন। নিজের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও সুর করা শুরু করেন। এরইমধ্যে তার সুর ও সংগীতে কণ্ঠ দিয়ে ফেলেছেন দেশের অনেক জনপ্রিয় ও নন্দিত শিল্পী। এবার সুর ও সংগীত দিয়ে দেশের গন্ডি পেরুলেন ‘সত্যি বলছি’ খ্যাত এই গায়ক ও সুরকার। এইবার তার সুর ও সংগীতে গেয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। গানটিতে সংগীতায়োজন করেছেন চয়ন চক্রবর্তী। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় ‘আধারের বৃষ্টিতে’ শিরোনামের গানের প্রথম লাইনগুলো হলো , ‘আঁধারের বৃষ্টিতে, ভিজে যায় চোখ/ভাষাহীন দৃষ্টিতে, পাথুরে শোক/আজো আমার মন শহরে নামেনি রোদ্দুর/বন্ধু তোমার ফেরার পথ বলো আর কদ্দূর।’
সম্প্রতি  কলকাতার একটি স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিং  করা হয়েছে। আসছে ঈদে সিএমভির ব্যানারে সিঙ্গেল আকারে প্রকাশ করা হবে গানটি। পাশাপাশি এক্সক্লুসিভলি শোনা যাবে জিপি মিউজিকে।
গানটি প্রসঙ্গে জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘রূপঙ্কর বাগচীর গায়কী আমার খুব পছন্দ। হঠাৎ মনে হলো তাঁর জন্য একটি গান বানাই। গানের কথাগুলো তাঁকে শোনানোর পর তিনি গানটি খুব পছন্দ করেন। বেশ যত্ন নিয়ে তিনি গানটি গেয়েছেন।’
অন্যদিকে রূপঙ্কর বাগচী বলেন, ‘আমি সিলেটের ছেলে। বাংলাদেশের কাজ করতে সব সময়ই ভালো লাগে। আগেও বেশ কিছু গান করেছি। তবে এই গানকে একেবারে  স্পেশাল  মনে হয়েছে। জয়ের সুর-সংগীত, রবিউল ইসলাম জীবনের কথা দুই মিলিয়ে অসাধারণ। আশা করি সবার গানটি ভালো লাগবে।’