সাক্ষাৎকার
দুই বাংলার গান নিয়ে শুভমিতার ভাবনা
Published
4 years agoon

- রিপন চৌধুরী :
বাংলা গানের জগতে এ সময়ে দুই বাংলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে যেসব শিল্পী অবস্থান করছেন তাঁদের মধ্যে শুভমিতা ব্যানার্জি অন্যতম। প্রথম সারির। ওপার বাংলার মালদার মেয়ে শুভমিতা বাংলা ছাড়াও তামিল, মালায়ামসহ বিভিন্ন ভাষায় গান করে শ্রোতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। জীবনের সেরা কাজ করেছেন বিশ্ব সঙ্গীতের অন্যতম পুরোধা বাঙালি ব্যক্তিত্ব পন্ডিত রবি শংকরের সঙ্গে। বাংলাদেশসহ অডিও মাধ্যম ও চলচ্চিত্রে অগনন গান করে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন সর্বত্র। কন্ঠ মাধুর্যে মানুষের মন জয় করে নেয়া শিল্পী শুভমিতার অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন বাংলা গানের জগতে। তার গাওয়া বৃষ্টি পায়ে পায়ে গানটি দুই বাংলার শ্রোতাদের মুখে মুখে বাজে। তুমুল জনপ্রিয় এই গান। সম্প্রতি তিনি কোলকাতার সাউথ সিটির বাসায় গানের একাল সেকাল নিয়ে কথা বলেন সঙ্গীত বিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল সৃজনমিউজিকবিডি ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি রিপন চৌধুরীর সাথে।
সঙ্গীতের সঙ্গে আপনার সখ্যতার শুরুটা কীভাবে ?
শুভভমিতা : একদম ছোট বেলা থেকে। আমার মা-বাবা পেশাদার শিল্পী ছিলেন। আমার বাবার কাছেই হাতেখড়ি এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাবাই ছিলেন আমার শিক্ষা গুরু। তারপর পড়াশুনা ও গানকে এগিয়ে নিতে কোলকাতায় আসি। পন্ডিত উল্হাস কাসালকারের কাছে তালিম নেয়া শুরু করি, এখনো শিখছি। মাঝে অনিরুদ্ধ ভট্টচার্য্য ও পূর্ণিমা চৌধুরীর কাছেও শিখেছি। ভালো গুরু পাওয়া আমার কাছে ভগবান পাওয়ার মত।
শিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে মেধা, শ্রম বা একাগ্রতাকে কীভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন?
শুভমিতা : দেখুন, আমরা যখন শিখতে শুরু করি তখন এখনকার মত এতো প্রতিযোগিতা বা স্টেজে গাওয়ার চর্চাটা ছিলোনা। বরং কড়াকড়িভাবে বারণ ছিলো। ছোট বেলাটা কেটেছে একাগ্রভাবে চর্চার মধ্য দিয়েই। শেখাটাই ছিলো মূল কাজ।
নিজের ভেতর শুভমিতাকে খুঁজে পেলেন কখন ?
শুভমিতা : এটা ১৯৯৭ সালের কথা, ইটিভি’তে ‘সা থেকে সা’ নামের একটি রিয়ালিটি শো চালু হয়। সেখানে প্রায় ৭০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে আমিও ছিলাম। দু’বছর চলে সেই প্রতিযোগিতা। একেকটি করে ধাপ পেরিয়ে অবশেষে আমি সেখানে চ্যাম্পিয়ন হই। সেই অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন জনপ্রিয় জীবন মুখী গানের শিল্পী নচিকেতা। তিনিই প্রথম আমাকে প্রস্তাব দেন তাঁর কথা সুরে অ্যাললবামে গাইবার। সে সময় সেটা ছিলো স্বপ্নের মত। ২০০০ সালের পর আমার ৪টি ও মৌ সুলতানার ৪টি গান নিয়ে নচিদা ‘আবিস্কার’ নামে সেই অ্যালবামটা বের করেন তাল অডিও থেকে। সে অ্যালবামটি খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। এরপর নচিদা আবারো আমাকে নিয়ে একক অ্যালবামের পরিকল্পনা করেন এবং দ্বিতীয় অ্যালবাম “ফিরে দেখা” প্রকাশ হয়। ভীষণভাবে সে অ্যালবামটি সাড়া ফেলে দেয়। পরে ‘মনের হদিস’। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কাজ করলাম জয় সরকার, গৌতম ঘোষাল, উদয় বন্দোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ, রূপঙকর প্রমূখের সাথে। এখানে আমি বলতে চাই আমার বাংলা গানের জগতে নচিকেতাই সব। তাঁর জন্যই আজ আমি এতোদূর এসেছি। তাঁর অবদান আমি কখনোই ভুলবোনা।
একালের গানে সেকালের গানের মত হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার বিষয়টা অনুপস্থিত। এ রকম অভিযোগ, অনুযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
শুভমিতা : মানুষের জীবন ধারার সাথে সব কিছুই সম্পৃক্ত। গানের ক্ষেত্রেও তাই। ভালো মন্দ তখনও ছিলো, এখানো আছে, থাকবেও। তবে সে সময় কোন শিল্পীর অ্যালবাম বের হবে তা নির্বাচন করা হতো অডিশনের মাধ্যমে। শিল্পীরাও বাছাই করা গান করতেন। এখনকার মত ইচ্ছে করলেই রেকর্ড করা যেতোনা। যার আর্থিক শক্তি আছে, সেইই এখন শিল্পী হয়ে যাচ্ছেন। আমার মনে হয় এখন গান শেখা, শোনা, ও জানার ঘাটতিটাও বেশী। ফলে এর একটা বাজে প্রভাব পড়েছে। তবে ভালো গান থেকে যাবে মন্দ কিছু ঝরে যাবে এই তো নিয়ম। আমি বলবো এখনও ভালো গানও হচ্ছে। অনেক ভীড়ের মাঝে হয়তো শ্রোতার কানে পৌছতে একটু সময় লাগছে। নতুনদের বলবো কাউকে অনুকরণ করে বেশী দিন টিকে থাকা যায় না। ভালো গান কোন প্রজন্মের ব্যবধান রাখেনা। যাইই করোনা কেন, শিখে করো, তবেই সাফল্য ।
বাংলাদেশের গান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
শুভমিতা : হ্যাঁ, বাংলাদেশের অনেকের গান শোনা হয়। অনেকের সাথে কাজ করেছি ইতোমধ্যে। শহীদ, কুমার বিশ্বজিৎ, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, ওনাদের সাথে কাজ করে বেশ ভাল লেগেছে। চমৎকার কম্পোজিশন তাদের। এছাড়া বাপপা মজুমদারের কথা বলতেই হবে দারুন গান তৈরি করেন। আমি এ প্রসঙ্গে আরেকটি কথা বলতে চাই বাংলা ভাষার প্রতি বাংলাদেশের বাঙালিদের যে আদর যত্ন, মমতা শ্রদ্ধা তা এখানকার চেয়ে অনেক অনেক সমৃদ্ধ। আমি দেশ-বিদেশে যেখানেই যাই বাংলাদেশের এই বিষয়টা বলি।
একই ভাষা একই সংস্কৃতির মানুষ দুটি পাশাপাশি দেশে। দ্বার উম্মুক্ত। সংস্কৃতির বন্ধন কেমন হওয়া উচিত ?
শুভমিতা : আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই দুই বাংলার সংস্কৃতির বন্ধন আরো দৃঢ় হোক। বেশ কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের বিশাল আয়োজন হচ্ছে। যেখানে দু’দেশের শিল্পীরাই সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে আয়োজক আবুল খায়ের লিটু ভাইকে অনুরোধ করবো, আপনি দুই বাংলার আধুনিক বাংলা গানেরও এ রকম আয়োজন করুন। তাহলে বিনিময় ও জানার পরিধিটা আরো বাড়বে।
সঙ্গীত জীবনের প্রাপ্তি বা সেরা কাজ সম্পর্কে কিছু বলুন :
শুভমিতা : শিল্পীদের জীবনে ভালো কাজের তৃষ্ণা থেকেই যায়। তবে কিছু কিছু প্রাপ্তি অনেকটাই সেই তৃষ্ণা মিটিয়ে দেয়। যেমন ২০০৯ সালে পন্ডিতজি রবি শংকরের কম্পোজিশনে কাজ করেছি ইন্ডিয়া কলিং নামের একটি অনুষ্ঠানে। তাঁর সান্নিধ্য পাওয়াটা ছিলো আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি।
আপনার শ্রোতারা কি নতুন গান পাচ্ছে ?
শুভমিতা : হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। একটু ভিন্ন আঙ্গিকেই পাবে। মির্জা গালিবের গজল বাংলা অনুবাদ করে একটি গজল আঙ্গিকের গানের অ্যালবাম আসছে। যার অনুবাদ, সুরারোপ ও সঙ্গীত পরিচালনা করবেন সৃজাত বন্দোপ্যাধ্যায়।।
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
