দুই শিল্পীর ভারত জয়

তারেক আনন্দ
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্প্রতি কলকাতার ১৬তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডে সম্মাননা
পেয়েছেন সংগীতশিল্পী রাফাত ও জুয়েল মোর্শেদ। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি নিয়ে কথা হয়
এই দুজনের সঙ্গে…।
যে কোনো পুরস্কার প্রাপ্তিই অনেক আনন্দের। পুরস্কার পেলে দায়িত্ববোধটা আরও বেড়ে যায়। পুরস্কার পাওয়ার জন্য হয়তো কেউ প্রস্তুত থাকে না। যখন পুরস্কারের খাতায় নামটা উঠে তখন থেকেই শুরু হয় ভালো লাগা। কথাগুলো বলছিলেন সংগীতশিল্পী রাফাত ও জুয়েল মোর্শেদ। বাংলাদেশের সংগীতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্প্রতি কলকাতার টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এই শিল্পীদ্বয়। রাফাত সুফী ঘরানার গান করেন। যার ফলে তাকে সবাই চেনেন সুফী গায়ক হিসেবেই। বাংলাদেশের একমাত্র সুফি গায়ক হিসেবে তিনি এই সম্মানটা পেলেন। ‘শিরোনামে তুমি’, ‘মন তো সুফিয়ানা’, ‘মুসাফির মন’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এই সুফী গায়ক। অন্য দিকে জুয়েল মোর্শেদের ঝুড়িতেও আছে জনপ্রিয় গান। ‘বল তুই আমায় ছেড়ে কোথায় যাবি’- এই এক গান দিয়েই তো তিনি বাজিমাত করেছেন সারা দেশের শ্রোতার কাছে। সংগীত পরিচালক হিসেবে দেশের মাটিতে সুনাম কুঁড়িয়েছেন। এবার বাংলাদেশের সংগীতে সংগীত পরিচালক হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেলেন কলকাতার এই অ্যাওয়ার্ড।

পুরস্কার মঞ্চে কি বলেছেন? জুয়েল মোর্শেদ বলেন, ‘দেশের বাইরে এসে এই প্রথম কোনো সম্মাননা পেলাম এটা পাওয়াটাই অন্যরকম ভালো লাগা। আমার বিশ্বাস আমার দেশও আমার সম্মাননায় আনন্দিত হবে। এখানে যারা গুণীজনরা আছেন, তাদের প্রায় সবাইকে আমি চিনি, কিন্তু আক্ষেপের বিষয় আমাদের দেশের অনেক গুণীশিল্পীদের আপনারা চিনেন না। এর অন্যতম কারণ আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলো আপনাদের এখানে দেখা যায় না। বাংলাদেশের একজন হয়ে আমি আজ আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে এ ব্যাপারে আপনারা উদ্যোগ নিবেন।’

https://www.youtube.com/watch?v=lVQhyFImxbc
একই প্রশ্নের উত্তরে রাফাত বলেন, ‘এপার বাংলা ওপার বাংলা কিছুই বুঝি না, বাংলাতে আছি বাংলাতে গান গাই, বাংলাতেই কথা বলি। আমি আনন্দিত আজকে এই সম্মাননা পেয়ে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। আমার যতটুকু বয়স তাতে এই সম্মাননা আমার কাছে অতিরিক্ত। তবুও আমি আনন্দিত, গর্বিত। আমি শিল্পী মানুষ। দুই লাইন গান গেয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। ‘….কাল হাশরে কি দেব জবাব, ক্ষমা করে দিস তুই মোরে, মুসাফির আমি মুসাফির এ মন, খুঁজি তোরে খোদা ঘুরে ঘুরে…’