বিনোদন
দু’জন মানুষ সুচরিতার খুব প্রিয়
Published
3 years agoon

সৃজনমিউজিক :
অভিনয়জীবনের শুরুটা হয়েছিল তার শিশুশিল্পী হিসেবে। পরবর্তীতে বহু চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করে পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তারপর চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেও দর্শকের মন জয় করেছেন। তিনি জনপ্রিয় নায়িকা সুচরিতা। রাজধানীর বারিধারায় নীরবে নিভৃতেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। সেই নীরবতা ভেঙেই সম্প্রতি নিজ বাস ভবনে আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন। সে আড্ডার কথা লিখেছেন অভি মঈনুদ্দীন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পথে হাঁটতে গিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী অনেককেই সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু সুচরিতার ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেনি বলে জানান তিনি। তার ভাষ্যমতে আল্লাহর রহমতে অভিনয়ের পথচলাটা ছিল ছোটবেলা থেকেই সহজ। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু হয় তার। তারপর নায়িকা হিসেবে ও পরিণত বয়সে এসে মায়ের চরিত্রে অভিনয়সহ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। পেয়েছেন কোটি কোটি সিনেমাপ্রেমী দর্শকের ভালোবাসা। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। কিন্তু সেই পুরস্কার পেলেও আক্ষেপ রয়ে গেছে তার।
যখন অভিনয় খুব বেশি বুঝতেন না, সেই বয়সেই ‘জাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন তিনি। দর্শক তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ‘জীবন নৌকা’ চলচ্চিত্রেও। কিন্তু দুটি চলচ্চিত্রের একটির জন্যও তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি। পেয়েছেন চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। অনেকটা মনে কষ্ট নিয়েই সুচরিতা বলেন, ‘জাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছি, আমাকে এমনই জানানো হয়েছিল সেই সময়। কিন্তু পরবর্তীতে অন্য একজন ম্যাডাম সেই পুরস্কার পেয়েছিলেন। আমি নাকি পুরস্কার নিয়ে খেলা করব, মর্যাদাই বুঝব না পুরস্কারের, সেজন্য আমাকে পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
অথচ নিজের অভিনয় দেখে আমি নিজেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। পুরস্কার না পাওয়ার সেই কষ্ট এখনো মনে পড়লে খারাপ লাগে।’ বাংলাদেশের মতো একটি সুন্দর দেশে জন্ম নিয়ে গর্বিত সুচরিতা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ সুন্দরভাবে দেশটিকে সাজানোর জন্য।

চিত্র নায়িকা সুচরিতা
সুচরিতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা ম্যাডামকে আমি খুব ভালোবাসি, পছন্দ করি। মনে হয় যেন তিনি আমার আপন বোন। দেশটাকে কী সুন্দর করে সাজিয়েছেন তিনি। বিএফডিসিতে যেতে হলে হাতিরঝিল দিয়ে যেতে হয়। সেদিক দিয়ে গেলে মনটাই ভরে যায় হাতিরঝিলের সৌন্দর্য দেখে। তার যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে, তা হলো তিনি দেশ-বিদেশে যেখানেই যান বাংলাদেশের তাঁতের শাড়ি পরেন। বাংলাদেশকেই তিনি তুলে ধরেন তার পোশাকের মাধ্যমে। আমার খুব শখ তাকে তাঁতের শাড়ি গিফট করার। জানি না সেই সুযোগ আসবে কিনা না।’
সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘কাগজের নৌকা’ চলচ্চিত্রে সুচরিতার বড় বোন বেবী রিটাও অভিনয় করেছিলেন। বড় বোনের শুটিং দেখতে গিয়েছিলেন তিনি এবং তারই বান্ধবী চম্পা। সেখানেই পরিচালক মুস্তাফিজের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে শিশু চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পান সুচরিতা। তখন তার নাম ছিল হেলেন। ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি শিশু চরিত্রে আরও অভিনয় করেন ‘নিমাই সন্ন্যাসী’, ‘অবাঞ্ছিত’, ‘রংবেরঙ’, টাকা আনা পাই’, ‘কত যে মিনতি’, ‘রাজ মুকুট’, ‘বাবলু’সহ আরও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে। নায়িকা হিসেবে আজিজুর রহমানের নির্দেশনায় ‘স্বীকৃতি’, দীলিপ বিশ্বাসের ‘সমাধি’ এবং অশোক ঘোষের ‘মাস্তান’ চলচ্চিত্রে পরপর অভিনয় করেন।
একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং মুক্তির পর তার দর্শকপ্রিয়তার কারণে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। গাজী মাজহারুল আনোয়ারই হেলেন থেকে তার নাম রাখেন সুচরিতা। সেই যে শুরু হলো নায়িকা হিসেবে তার যাত্রা এরপর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় তিনশ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সুচরিতা। চলচ্চিত্রের দুটি মানুষ তার ভীষণ প্রিয়। একজন নায়ক রাজ রাজ্জাক। অন্যজন ববিতা।
সুচরিতা বলেন, ‘ববিতা আপা একজন খাঁটি মানুষ। তার বাসার পাশেই লেকভিউ হাসপাতালে আমার প্রথম সন্তান আবির যখন হলো, তখন যতদিন হাসপাতালে ছিলাম, ততদিন তিন বেলার খাবার তিনি তার বাসা থেকে আমাকে পাঠাতেন। তিনিও আসতেন আমার খোঁজখবর নিতে। আরও ভালোলাগার বিষয় হলো ববিতা আপার সন্তান অনিকের কাপড়ই আমার সন্তান আবির প্রথম পরেছে। সিঙ্গাপুরের মাদার কেয়ার থেকে আনা সেই কাপড় প্রথম অনিক পরেছে, তারপর আমার সন্তান।
প্রথম মা হওয়ার সময় ববিতা আপার সেইসব স্মৃতি কোনোদিনই ভোলার নয়। সত্যিই তিনি একজন মহান নারী।’ সুচরিতার নিজের অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘বজ্রমুষ্ঠি’র ‘জীবনে একজন প্রিয়জন সবারই প্রয়োজন’, ‘আঁখি মিলন’ চলচ্চিত্রের ‘আমার গরুর গাড়িতে’ এবং ‘জাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রের ‘আকাশ বিনা চাঁদ’ গান তিনটি ভীষণ প্রিয়। সুচরিতা বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবারো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন।
বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘আমার মা আমার বেহেস্ত’ চলচ্চিত্রে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন। এতে তার স্বামীর চরিত্রে আলীরাজ এবং সন্তানের চরিত্রে সাইমন সাদিক অভিনয় করছেন। সর্বশেষ তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘মা আমার চোখের মনি’ চলচ্চিত্রে। সুচরিতা বলেন, ‘ভালো গল্পের প্রধান চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব পেলেই শুধু অভিনয় করব। সেক্ষেত্রে পরিচালককেও হতে হবে মেধাবী। শুধু শুধু অভিনয় করার জন্য কাজ করার পক্ষপাতী আমি নই।’
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
