অন্য মিডিয়া
নতুন সুর বোনার চেষ্টা করছি : লাকী আখন্দ্
Published
6 years agoon

সুরকার, গায়ক, মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ্। ব্যাংকক থেকে দ্বিতীয় দফা চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। আবার যাবেন জুনে। শারীরিক অবস্থাও এখন আগের চেয়ে ভালো। কথা হলো তাঁর সঙ্গে কথা
গাড়ির শব্দ হচ্ছে। কোথায় যাচ্ছেন?
আমি রাস্তায়, মহাখালীতে। বাসায় যাচ্ছি। গাড়িটা ঠিক করতে দিয়েছিলাম। ডেলিভারি নিতে এসেছি।
হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে না তো?
না না, তেমন কোনো সমস্যা নেই। চার মাস আগে থেকে প্রতিদিন দেড়-দুই ঘণ্টা হাঁটি। তবে ঢাকায় আসার পর ঠিকমতো হাঁটতে পারছি না। ঢাকা শহরের রাস্তায় জ্যাম। সিসা, ধুলাবালি। এখানকার বাতাস তো আমার জন্য বিষাক্ত।
শুনেছি ডাক্তার আপনাকে পাহাড়ে গিয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন?
ঠিকই শুনেছেন। পরিবেশের কারণে আমার ঢাকায় থাকা নিষেধ। ডাক্তার বলেছেন পাহাড়ে গিয়ে থাকতে। ৮ থেকে ১২ হাজার ফুট ওপরে থাকলে ফ্রেশ অক্সিজেন পাওয়া যাবে। এতে আমার ফুসফুস শক্ত হবে, যেটা আমার জন্য খুব দরকার। আমার ফুসফুসের কিছু অংশ অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফ্রেশ অক্সিজেনের জন্য ডাক্তার আমাকে এই পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু পাহাড়ে তো থাকতে পারব না। অনেক সমস্যা। কে দেখাশোনা করবে!
আপনার চিকিৎসা এখন কোন পর্যায়ে আছে?
খুব দ্রুত উন্নতি হয়েছে। এরই মধ্যে ছয়টি কেমো নেওয়া শেষ। ছয়টি বাকি। পরের ডেট ১৪ জুন। এবার গেলে ছয় মাস থাকতে হবে। প্রতি মাসে একটি কেমো নিতে হবে। কেমোগুলো নিতে হয় হাফ হাফ করে ১৪ দিন অন্তর। কেমো যখন নেওয়া হয় তখন কষ্ট হয় না। তবে সেদিন রাত থাকে ব্যথা লাগে। আমার তো চুল গেছে। তার পরও মানসিকভাবে শক্ত আছি।
শুনেছি ব্যাংককে একজন আপনাকে গিটার উপহার দিয়েছেন?
হ্যাঁ। এটা আমার জন্য অসাধারণ এক অনুভূতি! অসুস্থতার মধ্যে এই ধরনের অনুভূতির প্রয়োজন হয় মানুষের। লোকটার নাম তামব্রিজ। আমি তাঁর বাড়িতেই থাকতাম। কথায় কথায় তাঁর সঙ্গে পরিচয়। যখন জানতে পারেন আমি গানের মানুষ, খুব আগ্রহ দেখান। ইউটিউবে আমার গান শোনেন। এরপর খুশি হয়েই গিটারটি উপহার দেন। গিটারটা হাতে পাওয়ার পর অন্য রকম এক মানসিক শক্তি অনুভব করেছি। সুস্থতা অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে গিটারটিও বাজাতে শুরু করলাম। গিটারটি টিউন করার সময় ডাক্তাররাও অবাক হয়েছেন! এক ডাক্তার বললেন, ‘যে সময় তোমার প্রায় মরে যাওয়ার কথা, সে সময় তুমি গিটার বাজাচ্ছ। এটা কিভাবে সম্ভব?’ জবাবে বলেছিলাম, চিকিৎসার পাশাপাশি নিজের বুদ্ধি ও সাহস দিয়ে আমি এটাকে জয় করেছি।
হাসপাতালে কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি ভাবিয়েছে?
আমাদের দেশের ক্যান্সার চিকিৎসার কথা, হাসপাতালের কথা। উন্নত চিকিৎসা ও সতর্কতার অভাবে আমাদের দেশে অনেক মানুষ এই রোগে মারা যায়। কিন্তু এ রোগ থেকেও ভালোভাবে সেরে ওঠা সম্ভব। এ জন্য সবার সচেতনতা ও সতর্কতা প্রয়োজন। ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য আমাদের দেশে উন্নত প্রযুক্তির হাসপাতাল দরকার, সঠিক চিকিৎসা দরকার। এটা আমাকে বারবার নাড়া দিয়েছে।
মানুষের ভালোবাসা…
যাঁরা আমার গান শোনেন, তাঁরা যে আমাকে ভালোও বাসেন সেটা বুঝতে পেরেছি। অনেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমার পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। শিল্পীরাও অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন। সরকারের কাছেও কৃতজ্ঞ। আমি টাকার পেছনে কখনোই ছুটিনি। সারা জীবন চেয়েছি সুন্দর মানুষ হিসেবে সবার সঙ্গে মিশতে। সে জন্যই মানুষ আমাকে মনে রেখেছে। জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছুই হতে পারে না।
নতুন কোনো গান?
দু-তিন দিন ধরে রবীন্দ্রনাথের ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানটি নিয়ে ব্যস্ত। ড. আনিসুজ্জামান স্যার আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। তাঁকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানাচ্ছেন শাকিলা হোসেন। আমার কণ্ঠে এই গানটি স্যার খুব পছন্দ করেন। ডকুমেন্টারিতে গানটি ব্যবহার করা হবে। এটা স্যারের জন্য আমার গিফট।
এখনকার অবসর কাটছে কিভাবে?
গান নিয়েই আছি। কিছু ছেলেমেয়েকে ফ্রি ক্লাস করাচ্ছি। এটা-সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করছি। নতুন সুর বোনার চেষ্টা করছি। মাঝে আপনার মেয়ে মাম-মিনিতকে নিয়ে অ্যালবামের কথা বলেছিলেন। সেটার কী অবস্থা… বলেছিলাম। কিন্তু সব তো উলটপালট হয়ে গেল। সে তো আমাকে নিয়েই ব্যস্ত। ছোট মানুষ। তার ওপর অনেক প্রেশার। ঢাকা থেকে ব্যাংককে গেছে। সারাক্ষণ আমার দেখাশোনা করেছে, রান্না করে খাইয়েছে। বলা যায়, মেয়েই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমার খুব ইচ্ছা ওকে অজয় চক্রবর্তীর কাছে গান শেখানোর। আশা করি হয়ে যাবে। ভারত থেকে পিয়ানো ও গিটারের ওপর কিছু ক্লাস করাতে পারলেও মন্দ হতো না। আমার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে—দীপ ও শারারও গান করে। দীপ গিটার বাজায়, শারার ড্রামস। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে গান করতে বসলে অন্য রকম এক আনন্দ পাই। এবার ভালোভাবে ফিরে আসতে পারলে সবাইকে নিয়ে পারফর্ম করার জন্য রেডি হব।
এই প্রজন্মের ছেলেমেয়ের গান শোনেন? কেমন লাগে?
ছেলেরা আমেরিকান ভিডিও দেখে ও রকম করে গিটার নিয়ে ট্যাওট্যাও করে। এটা এক ধরনের ফ্যাশনের মতো হয়ে গেছে। অনেকেই দেখা যায় ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে। ভিডিও দেখে নিজেকেও ও রকম মনে করে। একটা প্রেমও। একটা সময় থেমে যায়। অর্থাৎ মিসইউজ হয় সময়টা। মানুষ তো এগুলো পছন্দ করে না। তবে সবাই যে একই রকম, তা নয়। অনেক ভালো ট্যালেন্ট ছেলেও আছে, যারা সুযোগ পাচ্ছে না।
নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
ওদের বলব, তোমরা যদি আমেরিকান ভিডিও ফলো করে মিউজিক করো, তোমাদের কোনো দিন হবে না। আমরা গরিব দেশ; আমাদের অনেক টাকা, অনেক মিউজিশিয়ান নেই। সে জন্য আমাদের উচিত অল্প পরিসরে সবাই যেটা এনজয় করতে পারে, সে ধরনের গান করা। একটা বেজ গিটার দিয়ে, কি-বোর্ড দিয়ে যদি সুন্দর করে কম্পোজিশন করা যায়, তাহলেও মানুষ শুনবে। আমার নিজেরও এমন অনেক গান আছে। আরেকটা বড় পরিবর্তন আসতে পারে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে।
সেটা কেমন?
আমি মনে করি, দৈনিক আট ঘণ্টা প্র্যাকটিস করলে গান গেয়ে মানুষকে একটু অবাক করা যায়। মানুষকে যদি অবাকই করা না যায়, আনন্দ দেওয়া না যায়, তাহলে মিউজিক করে লাভ কী? ইউরোপের লোকজনও দৈনিক ছয় ঘণ্টা, আট ঘণ্টা প্র্যাকটিস করে। জিপসি কিংরা ১৩ থেকে ১৬ ঘণ্টা প্র্যাকটিস করেন, ফ্রান্সের মতো শহরে থেকেও। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের লোকেরা ১০-১২ ঘণ্টা প্র্যাকটিস করে। আমাদের এখানে টাকার অভাব থাকতে পারে, কিন্তু সাধনা করতে তো কোনো বাধা নেই।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
