বিনোদন
নায়ক রাজ্জাক আর নেই
Published
5 years agoon

সৃজন মিউজিক
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাক মারা গেছেন( ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। আজ সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে হার্ট অ্যাটাক হওয়া অবস্থায় নায়ক রাজ্জাককে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ৬টা ১৩ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে নায়করাজ স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ২০১৪ সালে মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পাওয়া এ অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ শুনে তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।
১৯৬৬ সালে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকাই ছবিতে দর্শকনন্দিত হন কিংবদন্তি এ অভিনেতা।
নায়করাজ রাজ্জাক প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয় করে। পাঁচবার তিনি জাতীয় সম্মাননা পান। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার পেয়েছেন অসংখ্যবার।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজ্জাকের জন্ম কলকাতার সিনেমাপাড়া টালিগঞ্জে। জন্মের পর থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে সখ্যতা। মঞ্চের সঙ্গে জড়িত থাকলেও স্বপ্ন ছিল সিনেমাকে ঘিরে। টালিগঞ্জের সিনেমাশিল্পে তখন ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার, সৌমিত্র, বিশ্বজিতদের যুগ। সেখানে হালকা-পাতলা সাধারণ রাজুর অভিনয় সুযোগ পাবার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না।
১৯৬৪ সালের কথা। শুরু হয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সেই উত্তাল সময়ে নতুন জীবন গড়তে একজন সাধারণ মানুষ আবদুর রাজ্জাক স্ত্রী ও শিশু সন্তান বাপ্পাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন শূন্য হাতে। অমানুষিক জীবন সংগ্রামের পর সফল হয়ে আজকের নায়করাজ উপাধি পেয়েছেন, চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী হয়েছেন, এটা যে কারো কাছেই গল্প বলে মনে হতে পারে। মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। রাজ্জাক অসীম মনোবল, অমানষিক পরিশ্রম আর মমতার মাধ্যমে ঠিকই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন।

নায়ক রাজ্জাক ও নায়িকা পূর্ণিমা
১৯৬৬ সালে এ দেশের মুক্তি পেল তার অভিনীত ‘বেহুলা’। ছবিটি সুপারহিট। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পেল একজন নায়ক, যিনি পরবর্তী সময়ে এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অপরিহার্য নায়কে পরিণত হন। ঢাকার সিনেমা হলগুলোতে তখন পাক-ভারতীয় ছবির দাপট। ভারতের রাজকাপুর, দিলীপ কুমার, নার্গিস, পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী, জেবা, সুধির, শামীম আরা, ওয়াহিদ মুরাদ এবং কলকাতার ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, বিশ্বজিৎ, সৌমিত্রদের ছবির সঙ্গে পালা দিয়ে চলতে শুরু করল ঢাকার নির্মাতাদের নির্মিত ছবি।
আব্দুল জব্বার খান, রহমান, শবনম, খলিল, ফতেহ লোহানী, খান আতা, সুমিতা দেবী, আনোয়ার হোসেন, সুচন্দাদের সঙ্গে যোগ হলো আরো একটি নাম ‘রাজ্জাক’। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এখানে নির্মিত বেশিরভাগ ছবির নায়ক রাজ্জাক। দুই ভাই, আবির্ভাব, বাঁশরী, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, যে আগুনে পুড়ি, পায়েল, দর্পচূর্ণ, যোগ বিয়োগ, ছদ্মবেশী, জীবন থেকে নেয়া, মধুর মিলন ইত্যাদি ছবির সাফল্যে রাজ্জাক হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্রের অপরিহার্য নায়ক।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে পাক-ভারতীয় ছবির প্রদর্শন বন্ধ হলে নতুন দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব যাদের উপর বর্তায় তাঁদের একজন রাজ্জাক। রহমান, আজীম, আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে হাতে হাত রেখে, রাজ্জাক পথ চলতে শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে রাজ্জাক পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিনেতা হিসেবে ব্যস্ততা আর জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকার সময়ই রাজ্জাক গড়ে তোলেন প্রযোজনা সংস্থা ‘রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন’। এই সংস্থা থেকে তিনি প্রযোজনা করেন ২০টি ছবি।
একজন আবদুর রাজ্জাক থেকে নায়করাজ রাজ্জাক-সেদিনের কমলাপুরের ছোট্ট ঘর থেকে গুলশানের আলিশান বাড়ি, অর্থ, যশ, খ্যাতি, সম্মান, দর্শকদের অকৃত্রিম ভালোবাসা, চলচ্চিত্রের প্রতিটি মানুষের শ্রদ্ধা স্নেহ-ভালোবাসায় যে নায়কের জন্ম সেই রাজ্জাক এই অবস্থানে আসার পেছনে যাদের অবদান রয়েছে তাদের প্রতি তার অশেষ কৃতজ্ঞতা আজো অসীম। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক।

নায়ক রাজ রাজ্জাক
এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও আজীবন সম্মাননা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন। কিন্তু তার কাছে আজো দর্শক-ভক্তের ভালোবাসাই সেরা পুরস্কার। আজ তার জীবনের সাথে যুক্ত হলো আরেকটি নতুন বছর।
একনজরে রাজ রাজ্জাক
পুরো নাম : আব্দুর রাজ্জাক
ডাকনাম : রাজু/রাজা/আলতা
জন্ম তারিখ : ২৩ জানুয়ারি ১৯৪২
জন্মস্থান : নাগতলা, টালিগঞ্জ, কলিকাতা
পিতার নাম : আকবর হোসেন
মাতার নাম : নিসারুন নেসা
ভাইবোন : তিন ভাই, তিন বোন রাজ্জাক সবার ছোট
স্কুল জীবন : খানপুর স্কুল
কলেজ জীবন : চারুচন্দ্র কলেজ
প্রথম ক্যামেরার সামনে : কলকাতার ‘শিলালিপি’ নামে একটি ছবিতে
অভিনয়ে হাতেখড়ি : রঙ্গসভা নাট্যদলের হয়ে
বিয়ে করেন : ১৯৬২ সালে
স্ত্রীর নাম : খায়রুন নেসা (লক্ষ্মী)
ঢাকায় আগমন : ১৯৬৪
প্রথম অবস্থান : ঢাকার কমলাপুর
সন্তান : তিনপুত্র বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও সম্রাট এবং দুই কন্যা শম্পা ও ময়না।
নায়ক হিসেবে প্রথম চবি : বেহুলা
অভিনীত ছবির সংখ্যা : প্রায় ৬০০
প্রথম প্রযোজিত ছবি : আকাঙক্ষা
প্রথম পরিচালিত ছবি : অনন্ত প্রেম
সেরা প্রাপ্তি : ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হওয়া।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
