সাক্ষাৎকার
পুলিশি অবিচারের শিকার কণ্ঠশিল্পী বর্ষা চৌধুরী
Published
4 years agoon

পুলিশি অবিচারের শিকার কণ্ঠশিল্পী বর্ষা চৌধুরী
সৃজন মিউজিক প্রতিবেদক :
ভুল চিকিৎসা, মনগড়া প্যাথলজিক্যাল টেস্ট সরবরাহ এবং সামান্য গাইনি সমস্যায় লেজার অপারেশনের নামে অর্ধলাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ধোলাইরপাড় এলাকায় অবস্থিত এশিয়া স্পেশালাইজড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রোগী সংগীতশিল্পী ও ফ্যাশন ডিজাইনার বর্ষা চৌধুরী। শুধু তাই নয়, বর্ষা চৌধুরী জানিয়েছেন হাসপাতালের দুর্নীতির বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পাত্তা পাননি। মামলা নেওয়া দূরে থাক, হাসপাতালের পক্ষ নিয়ে উল্টো তাকেই ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে হুমকি দিয়েছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। কিন্তু ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় এখন অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য থানার এক এসআই বর্ষা চৌধুরীকে সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এই কণ্ঠশিল্পী।
তবে বর্ষার এ অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এশিয়া হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন হাওলাদার ও যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আনিসুর রহমান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ষার এ ঘটনার মাস তিনেক আগে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগ এলাকার এক অন্তঃসত্ত¡া নারী এই এশিয়া জেনারেল হাসপাতালেই কর্তব্যরত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা গিয়েছিলেন। এ নিয়ে অনেক হট্টগোল হয়েছিল তখন। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রয়োজনীয় লোকবল ছাড়া অনুমোদনহীন চিকিৎসা দেওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি ২৬৫/এ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর এশিয়া স্পেশালাইজড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. সাইফুল ইসলামকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। আরও বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।
কণ্ঠশিল্পী বর্ষা চৌধুরী জানান, গাইনি সমস্যা নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর তিনি ধোলাইরপাড়ের এশিয়া হাসপাতালে যান। হাসপাতালটির পরিচালক জামাল হোসেন হাওলাদার তাকে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমানের কাছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা ব্যয়ে রক্তসহ বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করান ওই চিকিৎসক। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডা. মিজানুর রহমান তাকে বেশকিছু ওষুধ দেন। নিয়ম করে খাওয়ারও পরামর্শ দেন। ওই চিকিৎসকের কথামতো ওষুধ সেবন করছিলেন বর্ষা। কিন্তু শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন না হয়ে উল্টো অবনতি হওয়ায় তিন দিন পর বিষয়টি জানান চিকিৎসককে। দেখেশুনে ওই চিকিৎসক ফের ২১ দিনের পথ্য লিখে দেন বর্ষাকে। চিকিৎসকের নির্দেশনানুযায়ী ছয় দিন ওষুধ খাওয়ার পর ঘটে আরও বিপত্তি। পেট ফাঁপা থেকে শুরু করে নানান সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। অবশেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে হাসপাতালটির পরিচালক জামাল হোসেনকে বিষয়টি জানান বর্ষা। রোগী না দেখেই পরিচালক জামাল তখন মোবাইল ফোনে বলেন, এ রোগ সারাতে হলে অপারেশন লাগবে। তিনি লেজারের মাধ্যমে সিস্ট অপারেশনের পরামর্শ দেন বর্ষাকে, এর খরচ বাবদ দাবি করেন ৪০-৫০ হাজার টাকা।
এদিকে শারীরিক এ অবস্থার কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বর্ষা ও তার স্বজনরা। পরে বর্ষাকে মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। শরণাপন্ন হন ডা. মেহেরুন নেসার। রোগী দেখে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে ডা. মেহেরুন নেসা তাদের জানান, ভুল চিকিৎসায় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। এতে বড় ধরনের অঘটনের আভাস দেন তিনি। ডা. মেহেরুন ছয় দিনের বেড রেস্ট দিয়ে এশিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ সেবন করতে নিষেধ করেন বর্ষাকে। অবশেষে মুক্তি মেলে বর্ষার। এশিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে প্রায় ৫০ হাজার টাকার লেজার অপারেশন ছাড়াই ছয় দিনের বেড রেস্টে সুস্থবোধ করেন তিনি এবং ফিরে পান মনোবল।
বর্ষা চৌধুরী আরও জানান, পরবর্তী সময়ে স্থানীয় কয়েকজন বর্ষাকে নিয়ে এশিয়া হাসপাতালে গিয়ে ভুল চিকিৎসার বিষয়ে জবাব চাইলে দোষ স্বীকার করেন এশিয়া হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন হাওলাদার ও অভিযুক্ত চিকিৎসক মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে তারা গা ঢাকা দেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করতে যান বর্ষা। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো চাঁদাবাজ বলে গালমন্দ শুনতে হয়েছে তাকে ও তার স্বজনদের। এদিকে তাদের মামলা না নিলেও রহস্যজনক কারণে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও পরিচালকের করা একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে পুলিশ।
সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছেন থানার এক এসআই। গত বৃহস্পতিবার রাতেও বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন ওই এসআই।
এদিকে এশিয়া স্পেশালাইজড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক জামাল হোসেন হাওলাদার বলেন, বর্ষা চৌধুরীকে সঠিক চিকিৎসাই দেওয়া হয়েছিল। অযথা তিনি ও তার লোকজন হাসপাতালে ঢুকে উচ্চবাচ্য করেছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসার বিষয়ে থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানা পুলিশের কেউ ভুক্তভোগীর সঙ্গে সমঝোতা করছেন এমন বিষয় ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
