রকমারি
বাংলাদেশ ইলিশের মালিক হলো
Published
5 years agoon

মো. মাহফুজুর রহমান
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ। এর ফলে বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে ইলিশ সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল। স্বাদে, ঘ্রাণে অতুলনীয় বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এ ইলিশের মালিকানা (জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য) নিয়ে পার্শ¦বর্তী দেশও তৎপরতা চালায়। আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়াইপিও নিয়ম মেনে জামদানি শাড়ির পর ইলিশের মালিকানা বাংলাদেশকেই দিল।
এর আগে ইলিশের নিবন্ধনের ব্যাপারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বলছে, ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধনের সব প্রক্রিয়া শেষ। এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের হাতে ইলিশের জিআই নিবন্ধনের সনদ তুলে দেওয়া হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এ প্রসঙ্গে আমাদের সময়কে বলেন, ইলিশ বাংলাদেশের সম্পদ, আমাদের জাতীয় মাছ বিষয়টি মাথায় রেখে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে পেতে আবেদন করি। ইলিশ আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। জিআই প্রাপ্তি আমাদের একার অর্জন নয়, গোটা জাতির।
তিনি বলেন, জাটকা নিধন রোধে ইলিশ শিকারি জেলেদের জন্য ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের সময় বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জাটকা মৌসুমে মাছ ধরা অনেক কমে যায়। ফলে চলতি অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদনও যথেষ্ট বেড়েছে।
ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বলছে, মৎস্য অধিদপ্তর আমাদের কাছে রুপালি ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। ওই আবেদনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ১ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়। আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব। এখন এটি চূড়ান্ত নিবন্ধনের প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশের পণ্য আন্তর্জাতিকভাবে যেন স্বীকৃতি পায়, সে জন্য কাজ করে বিল্ড বেটার বাংলাদেশ। তাদের মতে, জামদানির পর এটি হচ্ছে দ্বিতীয় পণ্য, যেটি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল। এটি একটি অত্যন্ত আনন্দের খবর। এর ফলে অন্য আরও ৭০টি পণ্যের জিআই পণ্য হিসেব স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হলো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে বিশ্বে প্রতিবছর ৫ লাখ টন ইলিশ আহরিত হয়। এর ৬০ শতাংশই আহরিত হয় বাংলাদেশে। ফলে দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে এককভাবে ইলিশের অবদানই প্রায় ১১ শতাংশ। সার্বিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় জিডিপিতে এর হিস্যা ১ শতাংশের সমপরিমাণ। কয়েক বছর ধরেই দেশে ইলিশের উৎপাদন ৩ থেকে ৪ লাখ টনের মধ্যে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার টন। তবে ইলিশের গড় উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ টনের মতো। এই হিসাবে প্রচলিত বাজারমূল্যে প্রতিকেজির গড় দাম কম করে ৬৫০ টাকা ধরা হলে সাড়ে ৩ লাখ টন ইলিশের সার্বিক বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এই হিসাবে চলতি মৌসুমে ৭০-৭৫ শতাংশ মা-ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ায় এর বাজারমূল্য দাঁড়াবে ১৫ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।
মাছবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ইলিশ পাওয়া যায় বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশের উৎপাদন ক্রমাগত বাড়ছে। বাকি ১০টিতেই ইলিশের উৎপাদন কমছে। বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড ফিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশের। বাদ বাকি ১৫ শতাংশ ভারত ও ১০ শতাংশ মিয়ানমার এবং বাকি ১০ শতাংশ আটলান্টিক, প্রশান্ত ও আরব সাগরতীরবর্তী দেশগুলোয় উৎপন্ন হয়। নদী গবেষণাকেন্দ্রের এক তথ্যে জানা গেছে, দেশের ১৫টি জেলায় ৮৫টি উপজেলায় ইলিশ উৎপাদনের ভেতর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি জোরদার করা ও অভয়াশশ্রমগুলোয় মা-মাছ আহরণ বন্ধ রাখা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে শতকরা ৯ ভাগ, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১০ ভাগ, ২০০৮ সালে ৩৮ ভাগ, ২০০৯ সালে ১৭ ভাগ, ২০১০ সালে ৩৩ ভাগ, ২০১১ সালে ৩৬ ভাগ, ২০১২-১৩ সালে ৪৪ ভাগ এবং ২০১৩-১৪ সালে ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, দেশের ১০০টি নদীতে কম-বেশি ইলিশ পাওয়া গেলেও এর প্রজনন ও পরিপক্বতা দক্ষিণাঞ্চলের নদীতেই হয়। দেশে মোট উৎপাদিত জাটকার শতকরা ৬০-৭০ ভাগ দক্ষিণের বিষখালী, পায়রা, আগুনমুখা, বুড়ীশ্বর, বলেশ্বর ও কীর্তনখোলা নদী থেকে আহরণ করা হয়। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ৪ মাসেই মোট জাটকার শতকরা ৪৫-৬৫ ভাগ নিধন হয়। জাটকা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় দেশে ফিরছে ইলিশের রাজত্ব।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
