সৃজন মিউজিক
মোনালি ঠাকুর লং ড্রাইভে চাঁদে যাবেন
Published
5 years agoon

মোনালি ঠাকুর লং ড্রাইভে চাঁদে যাবেন
সৃজন মিউজিক
গান ওঁর প্যাশন। নাচতেও ভালোলাগে। ছোটখাট জিনিস থেকে অনুপ্রেরণা পান। তিনি মোনালি ঠাকুর। বলিউডের গানের জগৎ কাঁপাচ্ছেন একের পর এক হিট গান গেয়ে।
দিওয়ানি মস্তানি হো গ্যায়…
‘গানটা প্রথম আমারই গাইবার কথা ছিল। কিন্তু রেকর্ডিংয়ের সময় আমি মুম্বইতে ছিলাম না। ব্যস, প্লেব্যাক করলেন শ্রেয়া ঘোষাল। খুব খারাপ লেগেছে বিষয়টা।’ বললেন মোনালি ঠাকুর। ভোডাফোন আগমনির রেকর্ডিংয়ের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন মোনালি। শ্যুটের ফাঁকেই তাঁর সঙ্গে জমে উঠেছিল আড্ডা। গায়িকা হিসেবে শ্রেয়া ঘোষালকে কেমন লাগে আপনার? মোনালি বললেন ‘শ্রেয়া অবশ্যই ট্যালেন্টেড গায়িকা। আমার থেকে খানিকটা সিনিয়রও বটে। ওর গান আমার ভালো লাগে।’
দিওয়ানি মস্তানি… গানটা নিয়ে আপনার ট্যুইট ঘিরে তো প্রচণ্ড বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ‘ওটা একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। শ্রেয়ার ফ্যানরা আমার মন্তব্যটা ভুল বুঝে রিঅ্যাক্ট করেছে। আমি যোগ্য জবাবও দিয়েছি। তারপর কোনও ঝামেলা হয়নি। কয়েকজন ফ্যানের মন্তব্যে আমার সঙ্গে শ্রেয়ার সম্পর্কের কোনও হেরফের হয়নি।’ মোনালি জানালেন।
টেলিভিশন থেকে শুরু
শ্রেয়া ঘোষালের মতোই মোনালি ঠাকুরও টিভি-র রিয়্যালিটি শো থেকেই প্লেব্যাক গানের দুনিয়ায় পা রাখেন। কিন্তু ভার্সেটাইল গায়িকা হিসেবে শ্রেয়া মোনালির তুলনায় একটু এগিয়ে গিয়েছে। মোনালি অবশ্য বললেন, শ্রেয়া নিজের জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। এই নিয়ে এর বেশি কিছু বলতে চাননি ‘সওয়ার লু…’-র গায়িকা। তবে নিজের গানের প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি গানকে কেরিয়ার হিসেবে নির্বাচন করার অনেক আগেই গান আমায় নির্বাচন করেছে। একেবারে সেই ছ’বছর বয়সেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল আমি গায়িকা হব। সেই সময় ইংরেজি রাইমসের একটা সি ডি বের হয় আমার। তারপর পড়াশুনোর ফাঁকে গানের চর্চা করেছি মাত্র। তবু গানই যে আমার পেশা হয়ে উঠবে সেটা বোধহয় সেই ছ’বছর বয়সেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। নাহলে ইন্ডিয়ান আইডল পর্বটা হয়তো ঘটতই না।’
মোনালির বাবা মা দু’জনেই গানের জগতের সঙ্গে যুক্ত। বাবা শক্তি ঠাকুরই তাঁর অনুপ্রেরণা। ইন্ডিয়ান আইডলে ন’নম্বর স্থান অধিকার করেছিলেন মোনালি ঠাকুর। তবু প্লেব্যাক মিউজিকে নিজের জায়গা করে নিতে রীতিমতো লড়াই করতে হয় তাঁকে। বললেন, কলকাতায় যতদিন ছিলাম একরকম কাটছিল। কিন্তু অ্যাম্বিশনটাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেদিন মুম্বই পাড়ি জমালাম, সেদিন গোটা জীবনটাই বদলে গেল। কোথাও স্থায়ীভাবে নিজের জায়গা করে নিতে গেলে কতটা পরিশ্রম করতে হয় তা হাড়ে হাড়ে টের পেতে লাগলাম। তারপর হঠাৎই ২০০৮ সালে অফারটা এল। সংগীত পরিচালক প্রীতম চক্রবর্তী তাঁর রেস ছবির গান গাইবার জন্য আমায় ডাকলেন। দুটো গান ‘খোয়াব দেখে…’ ও ‘জারা জারা টাচ মি…’ গান দুটি হিট করে গেল। আমার লড়াইটাও থেকে গেল। বুঝতে পারলাম মুম্বইয়ের ফিল্ম জগতে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে একটা জায়গা আমার হয়ে গেছে।’

মোনালি ঠাকুর
প্লেব্যাকে পুরস্কার
জারা জারা টাচ মি গানটা মোনালি ঠাকুরকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দিয়েছিল। রেডিও পপুলার সং-এর তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করল গানটি। বেস্ট ফিমেল প্লেব্যাক হিসেবে এই গানটার দৌলতে মোনালি ঠাকুর পেলেন আই আই এফ এ পুরস্কার। এছাড়াও এই গানটির জন্যই অপ্সরা পুরস্কারও জেতেন তিনি। কিন্তু গানটি মোনালিকে বিশেষ একধরনের গায়িকা হিসেবে ব্র্যান্ড করে দিল। একটু হালকা, চটুল সুরের গানেই যেন মোনালির দখল। সিরিয়াস সুর বা গান তেমন একটা পাচ্ছিলেন না মোনালি। এই নিয়ে তার দুঃখের শেষ ছিল না। শেষপর্যন্ত অমিত ত্রিবেদীকে ধরলেন একটু অন্য ধরনের গান গাইবেন বলে। মোনালির কথায়, ‘নাচের গান, সেনসুয়াল গান গাইতে আর ভালো লাগছিল না। গানগুলো জনপ্রিয় হলেও মিউজিকটা বেশিদিন লোকের মনে টিকত না। তাই একটু ভারী গানের জন্য অমিতকে অনুরোধ করলাম। লুটেরা ছবিতে ‘সওয়ার লু…’ গানটা গাইবার অফার দিল অমিত। গানটা আমায় অন্য এক পর্যায় পৌঁছিয়ে দিল।’ গানটার মধ্যে একটা সেমি-ক্ল্যাসিকাল ভাব আছে। আর সেই কারণেই গানটা মোনালির এত পছন্দ হয়। মোনালি জানান, গানটা রের্কডিং করার আগে অমিত তাঁকে বলেছিলেন, ‘এটা তোমার গান। যেমন ইচ্ছে তেমন করে গাও। আমি আমার মতো করে গেয়েছিলাম গানটা।’ গানটা যে মোনালির ঝুলিতে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ভরে দিয়েছে সে তো আর কারও অজানা নয়।
অনুপ্রেরণায় অনেক নাম
কী বা কে বা কারা অনুপ্রেরণা দেয় মোনালি ঠাকুরকে? বললেন, ‘আমি ছোটখাট জিনিসেও অনুপ্রাণিত হয়। আকাশে মেঘ দেখলেও আমার ভালো লাগে। যে কোনও নতুন সুর আমার জীবনে অনুপ্রেরণার কাজ করে। কোনও সংগীত পরিচালকের নতুন ধরনের কোনও গান শুনলে আমি চাঙা হয়ে উঠি। তাই আলাদা করে কোনও একটা নাম করতে পারব না। তবে আমার জীবনের সব চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার বাবা-মা। ওঁরা না থাকলে আমি এত বড় হতে পারতাম না। আজও কোনও নতুন গান শুনলে বাবার সঙ্গে সেটা শেয়ার করতে ইচ্ছে করে।’ গান ছাড়া আর কী করতে ভালোবাসেন মোনালি? লং ড্রাইভে যেতে ভালোলাগে তাঁর। অবসর সময়ে মিউজিকের তালে নাচতেও দারুণ লাগে। হিপহপ তাঁর প্রিয় নাচ। এছাড়া সমুদ্রে বেড়াতে তার খুব ভালোলাগে। থাইল্যান্ডের বিচ তাঁর ভীষণ প্রিয়।
পছন্দের জায়গার মধ্যে ইউরোপ অন্যতম। ফ্রান্স, ইতালি, রোম সহ গোটা ইউরোপই তাঁর প্রিয়। বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানে যখন জাজ হয়ে যান, তখন ছোট ছেলেমেয়েদের গান শুনেও অনুপ্রাণিত হন। সা রে গা মা পা-য়ের আগামী সিজনে জাজ হচ্ছেন কি না প্রশ্ন করলে মোনালিজানান, ‘এখনও কিছু স্থির হয়নি। তবে আমায় ডাকলে যাব।’
ডেস্টিনেশন মুন
মোনালির প্রিয় বেড়ানোর জায়গা নাকি চাঁদ। অবাক লাগল শুনে? আমারও লেগেছিল। তাই প্রশ্ন করেছিলাম, ‘হঠাৎ চাঁদ কেন?’ সঙ্গে সঙ্গে মোনালি উত্তর দিলেন, ‘ট্র্যাফিক নেই বলে।’ একটু হেসে বললেন, ‘আমি গাড়ি চালাতে ভালোবাসি। কিন্তু মুম্বইয়ের ট্রাফিক আমায় ক্লান্ত করে দেয়। আতঙ্কে গাড়ি চালানোই ছেড়ে দিয়েছি। তাই চাঁদে যেতে চাই। মনের সুখে গাড়ি চালানো যাবে।’
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
