শিল্পী হতে চাই

সৃজন মিউজিক ডেস্ক :
কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গুহ, নিজের গানের ক্ষেত্রে সচেতনভাবেই এগুচ্ছেন। গানের ক্ষেত্রে নান্দনিক ও ব্যয়বহুল ভিডিও প্রকাশ করে নজর কেড়েছেন শ্রোতা-দর্শকদের। সম্প্রতি ছয়টি কালার টোনে ছয় ধরনের ভিডিও প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।
এখনকার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে শুনতে চাই—
নতুন গানের মিউজিক ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত আছি।  এবার ভিন্ন আয়োজনে একই অ্যালবামের বাকি ছয়টি গান নিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছি। তবে কোনো মিউজিক ভিডিও নয়। ছয়টি গানে থাকবে ছয়টি রঙ।  লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, কমলা আর সবুজ এই ছয়টি রঙের মিশেলে তৈরি হবে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন মিউজিক্যাল প্রেজেন্টেশন। শিগগিরই গানগুলো আপলোড হবে আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে।
কেমন ছিল প্রথম অ্যালবামের সুখ স্মৃতি?
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। বিশেষ করে আমাদের দেশের সৈয়দ আব্দুল হাদী, সুবীর নন্দী, কুমার বিশ্বজিত্, ওপার বাংলার হেমন্ত, মান্না দে’র কণ্ঠ শুনে গানের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়।  কয়েক বছর আগে আমার এক বন্ধু তার গানের রেকর্ডিংয়ের জন্য আমাকে খিলগাঁও স্টুডিওতে নিয়ে যান।  সেখানে সঙ্গীত পরিচালক তরিক আল ইসলাম ‘শুধু তোমার জন্য’ নামে একটি গান আমার কণ্ঠে রেকর্ড করান।  রেকর্ড শুনে ভালোলাগা বেড়ে যায়।  এ গানটির মাধ্যমেই আমার গানের জগতে পথচলা শুরু।
আপনার দ্বিতীয় অ্যালবামের রিলিজে কোনো নতুন পরিকল্পনা থাকবে কি?
প্রথম অ্যালবামের পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশের জন্য চাপ আসছিল। তবে এই অ্যালবামের ক্ষেত্রে আরো সচেতনভাবেই একটি একটি করে এর ভিডিও রিলিজ করবো। সব ধরনের শ্রোতার কথা মাথায় নিয়ে গানগুলো সাজানোর চেষ্টা করছি। অ্যালবামের জন্য গান লিখেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, প্রিন্স রুবেল ও আহমেদ রিজভী।
বর্তমানে অডিও বাজারের অবস্থা অনেকটাই মন্দা, এই বিষয়ে আপনার মতামত—
আমরা আসলে কপি করতে পছন্দ করি। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আমরা ভালো কিছু শুনবো, দেখবো, তারপর আমাদের নিজেদের মতো করে কিছু তৈরি করবো। আমি মনে করি আমাদের যে সংস্কৃতি তার সঙ্গে মানানসই কিছু সৃষ্টি করা উচিত। গান হলো মানুষের মনের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। অল্প সময়ে তারকা হওয়া যায়, শিল্পী না। আমার মনে হয় ২০১৫ সাল থেকে গানের ধারাটা আবার আগের মতো না হলেও কিছুটা ফিরে আসছে। প্রবীণ শিল্পীরাও নতুন করে গান করছেন। নেট থেকে গান ডাউনলোড হচ্ছে। তবে যারা এতো কষ্ট করে গান তৈরি করে তারা যেন ন্যায্য বেনিফিট পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভালো গান আসার জন্য এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।
গান নিয়ে আপনার ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা কি?
প্রথম অ্যালবামের জনপ্রিয়তার পর শিল্পী হিসেবে একটা দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যতদিন বাঁচবো গানের সঙ্গে থাকবো।
ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে শিল্পীদের ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে ভিডিও গান রিলিজ দেওয়ার একটা রীতি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি আপনার চোখে কেমন?

https://www.youtube.com/watch?v=rBlF22LSqaQ

ইন্টারনেটের এই যুগে মুহূর্তের মধ্যে যেকোনোকিছু ভাইরাল করা সম্ভব। দর্শকদের কাছে শিল্পীদের কাজটা পৌঁছানোর সহজ মাধ্যম এটি। ক্যাসেট বা সিডি আকারে অ্যালবাম বের করতে হলে মোটামুটি ৭/৮টি গান হলে ভালো হয়। অ্যালবামের সব গান নিয়ে চাইলে একটা মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম বের করা যায়, কিন্তু সেটা খুব ব্যয় সাপেক্ষ। তাই দর্শকদের পছন্দের দু-একটা গান নিয়ে মিউজিক বের করছে গানটাকে দর্শকদের কাছে আরেকটু ভিন্নভাবে উপস্থাপনের জন্য। আমার বিষয়টি হচ্ছে দর্শকদের কাছে উপস্থাপনের পাশাপাশি আমার নিজের কাছে আর্কাইভ রাখা। আর একটা ব্যাপার দেখা যায় এখানে দর্শক ভিউয়ার্সদের ভিজিটের ওপর একটা ভালো অঙ্কের টাকা ইউটিউব চ্যানেলের মালিকের অ্যাকাউন্টে এসে জমা হয়। রয়ালিটি কিংবা কমিশনের জন্য ঝামেলা পোহাতে হয় না।  –ইত্তেফাক থেকে