বিনোদন
সালমান শাহ হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ
Published
5 years agoon

সৃজনমিউজিক প্রতিবেদক :
চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাফিয়া ডন আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুলিশের পিবিআই তলব করতে যাচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরা, বন্ধু ডন, গৃহকর্মী আনোয়ারা, নিরাপত্তারক্ষী আবদুল খালেক, ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপক নূরউদ্দিন জাহাঙ্গীর, লিফটম্যান আবদুস সালামসহ আরও অনেকেই।
তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলবেন সালমান শাহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এসব সন্দেহভাজনদের প্রত্যেকের পূর্বের দেয়া বক্তব্য এখন যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তখন কে কী বক্তব্য পুলিশের কাছে এবং আদালতে দিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পিবিআই। সালমান শাহকে হত্যার জন্য প্রথম সন্দেহ করা হয় মাফিয়া ডন ও তৎকালীন সময়ে এমবি ফিল্মসের কর্নধার ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে। এরপরই সন্দেহের তালিকায় আছে সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরা ও বন্ধু ডন।
সালমান শাহকে হত্যার পর থেকেই তার মা নীলা চৌধুরী বলে আসছেন সুপরিকল্পিতভাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাই, সামিরা ও ডন সালমান শাহকে হত্যা করেছেন। কিন্তু পুলিশ ২১ বছরেও হত্যারহস্য বের করতে পারেনি। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে এ নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। চার দফা তদন্ত করেও সালমান ভক্তদের কাছে এর সুরাহা দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ইউনিট। একুশ বছর আগেকার সেই ঘটনা আবার তুমুল আলোচনার ঝড় তুলেছে সম্প্রতি সালমানের বিউটিশিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী রাবেয়া সুলতানা রুবির ফেসবুকে তুলে ধরা এক ভিডিওবার্তায়।

ঘরোয়া পার্টিতে আজিজ মোহাম্মদ ভাই
রুবির ভাষ্য অনুযায়ী, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। আর ওই হত্যাকাণ্ডে রুবির স্বামী ও ভাই জড়িত ছিলেন। এ ভিডিওবার্তাটি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর মধ্যে অবশ্য নতুন করে ফেসবুক লাইভে রুবির সেই ভাষ্য বদলে গেছে।
পিবিআইয়ের তদন্তকারীসূত্র জানায়, সালমান শাহর বাসা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে রমনা থানায় আত্মহত্যার মামলা, সুইসাইড নোট উদ্ধার, সামিরার তৎকালের বক্তব্যসহ প্রতিটি ধাপে নাটকীয়তা রয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের আগে-পরের ঘটনায় সালমান শাহর বাসার গৃহকর্মী মনোয়ারা, ডলি, ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন খানের বক্তব্যে গোঁজামিল রয়েছে।

সালমান শাহ ও সামিরা
একমাত্র স্ত্রী সামিরা ছাড়া ওইসব কর্মচারীর বক্তব্যে সালমান শাহ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন নাকি তাকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে তা সুস্পষ্ট নয়। অন্যদিকে আত্মহত্যা বা হত্যাকাণ্ডের আলামতও নেই। তবে ভক্তদের আকাঙ্খা, পরিবারের দাবি এবং রহস্য উদঘাটনে ফের গৃহকর্মী থেকে শুরু করে ওই সময় যারা সাক্ষ্য দিয়েছিল তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাবাসাদ করবে পিবিআই।
জানতে চাইলে পিবিআই ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের বিশেষ সুপার মো. বশিরউদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা। মামলার তদন্তে আইনিভাবে যা কিছু প্রয়োজন তা-ই করা হবে। তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা যাচ্ছে না।
পিবিআইসূত্র জানায়, রাজধানীর ইস্কাটনের ভাড়া বাসায় থাকতেন সালমান ও তার স্ত্রী সামিরা। আর গ্রিন রোডের বাসায় থাকতেন সালমানের মা সাবেক এমপি নীলা চৌধুরী ও বাবা কমরউদ্দিন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে ইস্কাটনের বাসা থেকে সালমানের মরদেহ উদ্ধার হয়।

সালমান শাহ ও সামিরা
সালমান পরিবারের মামলায় বলা হয়, ওইদিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সালমানকে দেখতে আসেন বাবা কমরউদ্দিন। ওই সময় সালমানের স্ত্রী সামিরা ও ব্যক্তিগত সহকারী আবুল বলেন, ‘সালমান রাত জেগে কাজ করেছে। এখন তাকে ঘুম থেকে ডাকা যাবে না।’ এর পরও ছেলেকে দেখার জন্য প্রায় এক ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করে বাসায় ফিরে আসেন তিনি। এর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেলিম নামের একজন কমরউদ্দিনের বাসায় ফোন করে জানান, সালমানের কী যেন হয়েছে। দ্রুত সালমানের বাবা, মা ও ভাই ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে ছুটে যান। তারা শয়নকক্ষে নিথর দেহ দেখতে পান সালমানের।
নীলা চৌধুরীর অভিযোগ, সালমানের মরদেহ উদ্ধারের পরও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তড়িঘড়ি করে সালমানের বাবা কমরউদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষর নিয়ে রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় ১৯৯৭ সালে রিজভি আহমেদ নামের একজন অন্য এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে জবানবন্দিতে স্বীকার করেন, সালমান শাহকে হত্যা করে আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো হয়েছে এবং রিজভি নিজেও সেই হত্যায় জড়িত ছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও র্যাবের তদন্তে বারবার সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রমাণের চেষ্টা হয়েছে।
তদন্তসূত্র বলছে, মরদেহ উদ্ধারের পর সালমানের ফ্ল্যাট থেকে দুটি ছোট বোতল ভর্তি তরল পদার্থ পাওয়া যায়। সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষায় ওই তরলে ‘লিগনোকেইন হাইড্রোক্লোরাইড’ ছিল। চিকিৎসকেরা যা চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করেন। তা হলে প্রশ্ন আসে সালমানকে চেতনানাশক পুশ করে হত্যা করা হয়েছিল?

চিত্রনায়ক প্রসনেজিত ও আজিজ মোহাম্মদ ভাই
অন্যদিকে সালমান শাহ আত্মহত্যার আগে একটি চিঠি লিখে রেখেছেন বলে তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ। যেখানে সালমানের নামের বদলে চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার লেখা হয়। বলা হয় ‘স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’ কিন্তু সালমানকে ওই নামে কেউ ডাকত না। তার ডাক নাম ছিল ইমন। এসব তথ্য থাকা সত্ত্বেও এতদিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টিই উঠে আসছে। এ কারণে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন সালমান পরিবারের।
সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার ভাই শাহরান সম্প্রতি তার ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘যদি সালমান শাহ আত্মহত্যা করে থাকে তা হলে তার রুমের দরজায় কেন দায়ের কোপ থাকবে? দেয়ালে কেন ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকবে? আমি নিজে দেখেছি সেসব। আমার ভাই মার্লবোরো গোল্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট খেত। সেখানে অন্য ব্র্যান্ডের সিগারেটের খোসা (খালি প্যাকেট) এলো কোথা থেকে? কারা খেয়েছিল এই সিগারেট? শাহরান বলেন, সামিরাকে ‘কিস’ করার কারণে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে সালমান প্রকাশ্যে সোনারগাঁও হোটেলে চড় মেরেছিল। এ বিষয়টা সবাই জানে।
প্রসঙ্গত, সালমানের বাবা কমরউদ্দিন ২০০২ সালে মারা গেছেন। সামিরা এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন। পর্দার আড়ালে আজিজ মোহাম্মদ ভাই।
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
