সিটিজেনশিপ নিয়ে দেশে ফিরবেন আজমেরী নির্ঝর

২০০০ সালের পর যে ক’জন নারী শিল্পীর আবির্ভাব দেশীয় সংগীতে হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আজমেরী নির্ঝর। বিশেষ করে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু ক্লাসিক্যাল এবং মেলোডি গান উপহার দিয়েছেন তিনি, যা শ্রোতাপ্রিয়তাও পেয়েছে বেশ। বাসু দেব ঘোষের কাছে কয়েক বছর ক্লাসিক্যাল গান শিখেছেন এ শিল্পী। বাসুর সুরেই প্রথম দিককার গানগুলো তিনি করেন। পরে হাবিব ওয়াহিদের সংগীতায়োজনে ‘একটা দিয়াশলাই কাঠি জালাই’ গানটি গেয়ে সর্বাধিক সফলতা পান।

এরপর হৃদয় খানের সুরে ‘জানি একদিন’ এবং ‘আজকের এই নিশি’ গান দুটিও শ্রোতামহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। সর্বশেষ নির্ঝর ও ইমরানের গাওয়া ‘আরাধনা’ গানটিও ভালো জনপ্রিয়তা পায়। তারপর বছর খানেক দেশীয় তরুণ শিল্পী-সুরকারদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। তবে অনেকটা হঠাৎই বছর দুয়েক আগে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য সু্‌ইডেনে চলে যান এ শিল্পী।

বর্তমানে তিনি রয়েছেন ফ্রান্সের প্যারিসে। সেখানে পড়াশোনা করছেন। সেখান থেকেই সম্প্রতি মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় নির্ঝরের। প্যারিসে বেশ ভালোই আছেন বলে জানালেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে শিক্ষকতাও করছেন। কাজ করছেন সংগীত শিক্ষক হিসেবে। সব মিলিয়ে কেমন আছেন?

নির্ঝর বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ফ্রান্সে মিউজিক্যাল টিচার হিসেবে কাজ করছি। তবে বাংলাদেশি কোনো অনুষ্ঠান আপাতত করছি না। নতুন গানও করা হচ্ছে না। দেশকে খুব মিস করি। দেশীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে মিস করি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের মিস করি। তবে ভালো কাজের জন্যই এখানে এসেছি। সবাই দোয়া করবেন যেন সেই কাজ করতে পারি।

দেশে আসছেন কবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্ঝর বলেন, তিন বছরের আগে আর দেশে ফেরা হচ্ছে না। সিটিজেনশিপ নিয়ে একবারে ফিরবো। দেশে এসে তখন হয়তো আবার গান করবো। দেখা যাক কি হয়। যাই করি না কেন, গানতো রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। নিজের জন্য হলেও গাই। আর দেশে শ্রোতাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তাতো ভোলার নয়। কৃতজ্ঞতা সারা জীবন থাকবে।

• সৃজন মিউজিক