বিনোদন
সুইসাইড নোটটি সালমান শাহ’র লেখা ছিল না
Published
5 years agoon

সৃজনমিউজিক প্রতিবেদক :
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ২১ বছর পরও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এমনকী পুলিশের দুটি সংস্থা সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও এর কারণ সম্পর্কে কিছুৃ বলেনি। আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ না করেই তদন্ত প্রতিবেদন কেন আদালতে দাখিল করা হল- এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সালমান শাহের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ‘অপমৃত্যু’ মামলার বর্তমান তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পাশাপাশি সেদিন কী ঘটেছিল- সেই বিষয়গুলোও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সালমানের মৃত্যুর পর চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে বিয়ের স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়েছিল। কারা, কী কারণে সেদিন এই স্ক্যান্ডাল ছড়িয়েছিল তা আজও জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোটে লেখা ছিল- ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ সালমানের মা নীলা চৌধুরীর দাবি ওই সুইসাইড নোটটি সালমানের লেখা ছিল না।
সালমান শাহের প্রতিবেশী ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাবেয়া সুলতানা রুবি তার (সালমান) মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে তিনি দাবি করেন, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে সামিরা এবং তার (রুবির) পরিবার জড়িত। পরে আবার দাবি করেন, সালমানকে হত্যা করা হলেও এর সঙ্গে তার পরিবারের কেউ জড়িত নন। একাধিক ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, সালমান আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত নন। এটি তদন্ত করে বের করতে হবে। এ সময় তিনি বারবার নিজেকে মানসিক রোগী বলে দাবি করেন। এগুলো ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গেছে।
সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে রুবি ভিন্ন বক্তব্য দিলেও তা গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছে পিবিআই। রুবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যুক্তরাষ্ট্রে টিম পাঠাতে চায় পুলিশ। এজন্য পুলিশ যথাযথ চ্যানেলে যোগাযোগ করছে। মামলাটির বর্তমান তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বিষয় এসেছে। এগুলো যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। রুবির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রপার চ্যানেলে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, তার ছেলে (সালমান) আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার দাবি, সেদিন সকাল ৭টায় সালমানের সঙ্গে দেখা করতে তার বাবা কমর উদ্দিন ইস্কাটনের বাসায় যান। দারোয়ান সেদিন কমর উদ্দিকে বাসায় যেতে বাধা দেন। সালমানের স্ত্রী (সামিরা হক) অনুমতি ছাড়া ভেতরে যেতে বাধা দিলেও একপর্যায়ে সালমানের বাবা উপরে উঠে যান। তবে তখন সামিরা সালমানের সঙ্গে কমর উদ্দিনকে দেখা করতে দেননি। কেন বাবার সঙ্গে সালমানকে দেখা করতে দেননি এটি এখনও রহস্য হয়ে আছে।
সালমানের মৃত্যুর পর আরও কয়েকটি বিষয় নিয়েও রহস্য তৈরি হয়েছিল। ওই সময় সালমানের সহকারী আবুল, গৃহকর্মী ডলি ও মনোয়ারা সামিরার পরিবারের হেফাজতে ছিল। এর কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। সালমানের মৃতদেহ ফ্যান থেকে নামানোর পর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেয়া হয়নি, এমনকি কাউকে সাক্ষী না রেখেইে দড়ি কেটে সালমানের দেহ নামানো হয়। সেদিন দ্রুততার সঙ্গে সালমানের ময়নাতদন্ত শেষ করে তার লাশ সিলেটে নেয়া হয়েছিল। ওই সময় সামিরা সিলেটে যাননি। এসব প্রশ্নের উত্তর তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের কাছে এখনও অজানা।
সালমানের মৃত্যুর পরের বছর ১৯৯৭ সালে কমর উদ্দিনের বাসা থেকে গ্রেফতার হন রিজভী আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে তিনি দাবি করেন, সালমানকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যার সঙ্গে তিনি নিজে জড়িত ছিলেন। সালমানের পরিবারের অভিযোগ, রিজভী আদালতে জবানবন্দি দিলেও জড়িতদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। রিজভী বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে রিজভী বলেন, সামিরার মা লাতিফা হক সালমানকে হত্যা করতে ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি করা হয়েছিল কাজের আগে ছয় লাখ ও কাজের পরে ছয় লাখ টাকা দেয়া হবে।
হত্যার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, সালমান তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। ফারুক তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পকেট থেকে ক্লোরোফোমের শিশি বের করে। সালমানের স্ত্রী সামিরা সেই ক্লোরোফোম রুমালে দিয়ে তার (সালমান) নাকে চেপে ধরেন। এ সময় ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আজিজ মোহাম্মদ এসে সালমানের পা বাঁধে এবং ইনজেকশন পুশ করে। এ সময় সামিরার মা সহায়তা করে। পরে ড্রেসিং রুমে থাকা মই এনে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে সালমানকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সেই দড়ি এনেছিল ডন। জবানবন্দিতে ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও আসামি রিজভী ছাড়াও ছাত্তার ও সাজু নামে আরও দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানান তার স্ত্রী সামিরা হক। কিন্তু সালমান শাহের পরিবার একে হত্যা বলে আসছিল। সালমান শাহের মৃত্যুর পর তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। বিভিন্ন সংস্থা এ মামলার তদন্ত করেছে। ওই সময় সালমানের মা নীলা চৌধুরী আদালতে পিটিশন দায়ের করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ নিয়ে আলাদা কোনো মামলা হয়নি। ওই পিটিশনে রুবি ছয় নম্বর আসামি।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
