তারেক আনন্দ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের আজ জন্মদিন। জন্মদিনের সূচনালগ্নে সকালে দুস্থ এতিম শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। এছাড়া নিজ পরিবার ও ঘনিষ্ঠ স্বজনদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করবেন সাবিনা ইয়াসমীন। তিনি বলেছেন, ‘জন্মদিনটা তার কাছে এখন অনেক বড় পাওয়া মনে হয়। নতুন করে গানের জগতে ফিরতে পেরে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন সাবিনা ইয়াসমীন। জন্মদিন উপলক্ষে কথা হয় এই কিংবদন্তী শিল্পীর সঙ্গে। আজ আপনার জন্মদিন এ দিনটি কীভাবে পালন করবেন? আমি আমেরিকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পিসিআইয়ের গুড উইল অ্যাম্বাসেডর। এ সংগঠনের কাজ হলো দুস্থ এতিম শিশুদের নিয়ে। তাই আমি পরিকল্পনা করেছি জন্মদিনের শুরুটা তাদের নিয়েই করব। সকালে শিশুরা চলে আসবে আমার বাসায়। ওদের সঙ্গেই জন্মদিনটা পালন করা হবে। এ ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠান আছে? আর তেমন কোনো অনুষ্ঠান নেই। পারিবারিকভাবে আমার বোন, ভাগ্নি, মেয়ে বাঁধন আসবে তাদের সঙ্গেই ঘরোয়াভাবে আড্ডা দেব। জন্মদিনে আপনার জীবনের সেরা উপহার কী পেয়েছিলেন। মনে আছে? জীবনে তো অনেক অনেক উপহার পেয়েছি। কয়টার কথা বলব। তবে আমার কাছে বিশেষ উপহার হলো ফুল। ফুল আমি অনেক ভালবাসি। তাই আমার জীবনের সেরা উপহার যদি বলেন, তাহলে আমি বলব ফুলই সেরা উপহার। এ দিনটি এলে আপনার কেমন অনুভূতিবিরাজ করে? আমি যে জন্মদিন পালন করতে পারছি, সেটা মহান আল্লাহর ইচ্ছায়। কারণ সারা দেশের মানুষ জানেন আমি কঠিন রোগ থেকে উঠে এসেছি। তাই জন্মদিনটা আমার কাছে এখন অনেক বড় পাওয়াই মনে হয়। আল্লাহ নতুন করে সবার মাঝে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। মানুষ যে আমাকে এত বেশি ভালবাসে, সেটা অসুখ না হলে জানতাম না। মানুষের ভালবাসাটাই এখন মনে হচ্ছে অনেক বড় পুরস্কার। যারা আমার পাশে ছিলেন দুঃসময়ে সবার কাছেই কৃতজ্ঞ। জানি না, আল্লাহ কার দোয়া কবুল করেছেন, আমি আবার গান গাইছি এটাই অনেক বড় পাওয়া। মেয়ে বাঁধনের অ্যালবামে গান প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। ওটা কবে প্রকাশ হচ্ছে? বাঁধনের অ্যালবামে তিনটি ডুয়েট গানে কণ্ঠ দিয়েছি। কাজ শেষ। অ্যালবামটি শিগগিরই প্রকাশিত হবে।
এ ছাড়া আর কোনো নতুন গান প্রকাশ হচ্ছে? আমি তো বেশি বেশি অ্যালবাম এমনিতেই করি না। তবে আমাকে জীবনের প্রথম যিনি চলচ্চিত্রে গান করিয়েছিলেন তার ১০টি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছি। কার কথা বলছিলেন, নিশ্চয় শহীদ আলতাফ মাহমুদ? জ্বি, ঠিকই ধরেছেন। চলচ্চিত্রে আমার কণ্ঠ দেওয়া আলতাফ মাহমুদের ১০টি গান বাছাই করে এরই মধ্যে কলকাতা থেকে মিউজিক ট্র্যাক করে নিয়ে এসেছি। ইচ্ছা আছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে অ্যালবামটি প্রকাশ করব। চলচ্চিত্রে হাজার হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্রের গান কেমন লাগে আপনার কাছে? এখনকার সিনেমার গান আমি তেমন শুনি না। কেমন করে বলব, কেমন হয়েছে? শুনব কি আর, গানে কোনো মেলোডি নেই, কথা নেই। একবার শুনলে মনে থাকে না। এগুলো শুনে কী লাভ। হয়তো দু-একটা গান ভালো হয়, কিন্তু আমার শোনা হয় না। গান আমার শুনতে হবে কেন? যদি ভালো গান হয়, তাহলে মানুষের মুখে মুখে থাকবে। আমারও শোনার ইচ্ছা জাগবে। যদি শুনতাম ওই গানটা ভালো হয়েছে, সবাই প্রশংসা করছে। তখন আমিও শুনতাম।
