আসুন লাকী আখন্দের পাশে দাঁড়াই

তারেক আনন্দ
‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান দিয়ে যে মানুষটি বাংলা সংগীতকে করেছেন সমৃদ্ধ, তাকে কি এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে দেওয়া যায়? না তাকে এভাবে চলে যেতে দেওয়া যায় না। সংগীতের জন্য তাকে যে বড় প্রয়োজন। তিনি চলে গেলে শূন্যতা থেকেই যাবে। আসুন আমরা সবাই লাকী আখন্দের পাশে দাঁড়াই।
গত বছর ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সংগীতকার লাকী আখন্দের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসার জন্য তখন এই সুরস্রষ্টাকে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছিলেন। আবারও সরকারের সহযোগিতা চাইছেন তিনি।
শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে নয়, এই গুণী মানুষটার জন্য আসুন সারা দেশের মানুষ পাশে দাঁড়াই। যারা গান ভালবাসেন, লাকী আখন্দের সুর ছুঁয়ে গেছে হৃদয়ে তারা কি পারি না তার দুঃসময়ে পাঁশে দাড়াতে? সংগীতের মানুষরা কি পারি না সবাই এক হয়ে তার সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিতে?

লাকী আখন্দের মেয়ে মাম্মিন্তি বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। লাকী আখন্দেরও বিশ্বাস তাকে বাঁচাতে সরকার এবারো সহযোগিতার হাত বাড়াবে।
লাকী আখন্দ এখন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার বারডেম হাসপাতাল থেকে তাকে নেওয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। ঈদের পরপর মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন এই সংগীতজ্ঞ। এরপর বাসায়ই সময় কাটছিল তার। কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতিও হয়েছিল।

এদিকে, তার মেয়ে মাম্মিন্তি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, বাবাকে সহযোগিতা পাঠানোর জন্য তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদও এসেছে। এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। বাবার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। অনেক সময় সবার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলার সুযোগ হয় না। দয়া করে বাবাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর কোনো সংবাদ পরিবেশন করবেন না।  : সূত্র আমাদের সময়