সৃজন মিউজিক
মিউজিক প্লাটফর্ম গড়ছেন হাবিব
Published
6 years agoon

সৃজন মিউজিক প্রতিবেদক
হাবিব ওয়াহিদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন শিল্পীর নাম। যার বাবা হলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। আধুনিক বাংলা পপ সঙ্গীতের অন্যতম পথ প্রদর্শক। ৭০ ও ৮০’র দশকে ফেরদৌস ওয়াহিদ বাংলা পপ সঙ্গীতকে নিয়ে যান অন্য এক উচ্চতায়। তার ছেলে হাবিব বাংলা লোক সঙ্গীতকে নিয়ে গেছেন আরেক উচ্চতায়। যার হাত দিয়ে অনেক লোক সঙ্গীত বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লন্ডনে শব্দ প্রকৌশলের ওপর পড়াশোনা করতে করতে হাবিব লোক সঙ্গীতের একটি রিমিক্স অ্যালবাম বের করেন। যে অ্যালবামের শিল্পী ছিলেন লন্ডনের একজন সিলেটী ব্যবসায়ী কায়া। যিনি ছিলেন একজন অপরিণত শিল্পী। ওই এক ‘কৃষ্ণ’ রিমিক্স অ্যালবামটি রাতারাতি হাবিবকে তারকা বানিয়ে দেয়। অ্যালবামের গানগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর একে একে হাবিব মায়া, ময়না গোসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসা সফল অডিও অ্যালবামের জন্ম দেন। এসব অ্যালবামে শিল্পী তৈরির পাশাপাশি নিজেও কণ্ঠ দেন। বর্তমানে হাবিব বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম।
স¤প্রতি এবিসি রেডিওতে হৃদয় খানের সঙ্গে মজার আড্ডায় মিলিত হন হাবিব। দুই ঘণ্টার ওই আড্ডায় পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল রেডিওর ভেতরে গিটার, কিবোর্ডসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির সেটআপ করা হয়েছিল। সেখানে জমজমাট আড্ডার পাশাপাশি গানও পরিবেশন করেন হাবিব।
আড্ডার বিষয়বস্তু কী ছিল জানতে চাইলে হাবিব বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এখনকার সঙ্গীতের ট্রেন্ড, শ্রোতাদের পছন্দসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এখন আমরা বেশিরভাগই লাভ সং করি। ওই লাভ সং নিয়ে শ্রোতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি আর হৃদয় (হৃদয় খান) অনেক বেশি মজা করেছি। হৃদয়ের মেয়ে ফ্যানরা ফোন করেছে একের পর এক। আমি বলেছি, ওকে তোমাদের কেমন লাগে? এক কথা থেকে আরেক কথায় চলে গিয়েছি। এভাবে দুটি ঘণ্টা যে কীভাবে পার হলো, তা টেরই পায়নি।
হাবিব জানিয়েছেন, তিনি এখন একটি মিউজিক প্ল্যাটফর্ম’-এর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গেই পরবর্তী কাজগুলো সামনে আসছে। খুব শিগগির অনুষ্ঠান করে জানিয়ে দেবেন এই প্লাটফর্মের বিস্তারিত। এই প্লাটফর্ম বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে কাজ করবেন। এখান থেকে অ্যালবাম, মিউজিক ভিডিওসহ নতুন নতুন গান প্রকাশ হবে।
‘তোমার আকাশ’ শিরোনামে একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এটির সাড়া কেমন? জবাবে হাবিব বলেন, গানটির বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। ভিডিওটা সবাই পছন্দ করেছেন। দৃশ্যায়ন ছিল চমৎকার।
সিঙ্গেলস গান প্রকাশের নতুন ট্রেন্ড আপনিই শুরু করেছেন। এটি সবার মধ্যে যে ছড়িয়ে যাবে, তা কখনো ভেবেছিলেন?এখন ইউটিউব, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শ্রোতারা গান শুনছে। আমার চিন্তা ধারায় মনে হয়েছিল, সিঙ্গেলভাবে গান প্রকাশ করা যায়। আমি যদি নাও করতাম, তাহলে হয়তো অন্য কেউ করত। আমি হ্যাপি যে, সবাই এটিকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। শ্রোতা এ কারণে গানের সংখ্যা কম পাচ্ছে।
আগে সারা বছর সময় নিয়ে একটি অ্যালবামই বের করা হতো। সিডিতে গান শোনার সময় শ্রোতার চাহিদা ছিল ৮-১০টি গান শোনার। এখন যেহেতু ইন্টারনেটের যুগ, সেহেতু এক-দুই মাস অন্তর কোনো শিল্পীর নতুন গান পেয়ে যাচ্ছে শ্রোতা। আমারই তো গত কয়েক মাসে মিউজিক ভিডিও, চলচ্চিত্রের গান মিলিয়ে ৫-৬টির মতো নতুন গান প্রকাশ হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যদেরও গান পাচ্ছে শ্রোতারা।
অডিও দিয়ে আপনার শুরু। এখন ডিজিটালি প্রকাশ হচ্ছে গান। এখনকার সময়টা কেমন?
জবাবে হাবিব বলেন, সময়ের সঙ্গে চলতেই হবে। এখন মিউজিক ভিডিও করতে হয় গান শ্রোতার কানে পৌঁছতে। সবকিছুরই নেগেটিভ-পজিটিভ দিক আছে। তখন যে শ্রোতা গ্রামে থাকত, তাকে কষ্ট করে সিডি বা ক্যাসেট কালেক্ট করতে হতো। তখনকার ভালো দিক ছিল, তারা সব গানই ক্যাসেট কিংবা সিডিতে শুনত মনোযোগ দিয়ে। তারা এখন ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন নতুন গান। কমিউনিকেশন গ্যাপটা আর থাকছে না। আর্টিস্ট যদি ভালো কিছু করেন, তাহলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শ্রোতার কানে সহজেই পৌঁছে যাবে নতুন গান। সময়কে অস্বীকার করার উপায় নেই।
বর্তমান জেনারেশনের অনেকেই আপনাকে আইডল মনে করেন। নতুনদের কাজ আপনার কেমন লাগে?
দুই-একজনের কাজ আমার খুবই ভালো লাগে। এখন ট্রেন্ডটাও একটু অন্য রকম। আমরা যখন (ফুয়াদ, হৃদয় খান, বালাম, অর্ণব) কাজ শুরু করিÑ তখন কম্পোজিশন, সুর সবকিছু নিজেরাই করেছি। এখন একজন সুর করছেন, আরেকজন মিউজিক করছেন। এর মধ্যেও ভালো কিছু বের হয়ে আসছে। নতুনদের মধ্যে রাফি মোহাম্মদের মিউজিক অ্যারেঞ্জটা ভালো লাগে। ডিফারেন্ট সাউন্ড পেয়েছি প্রীতমের মধ্যে। প্রীতমের ‘আসো মামা হে’ গানটি দারুণ হয়েছে। তার মেধাটা অন্য রকম। কমন জিনিসের বিপরীতে চলে সে। ইমরান কম্পোজিশন ভালো করে, কণ্ঠটাও দারুণ। তবে সে যদি নতুন নতুন মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করে, তাহলে আরও ভালো করবে।
আমাদের দেশে ভারতের সংগীতের প্রভাবটা পড়ছে। এটিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এমনতো না, সিডি কলকাতায় বের হলো, ঢাকায় আসছে না। নেটে সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে। প্রভাব তো পড়বেই। আমাদের নিজস্বতার জায়গাটা কি হারিয়ে যাচ্ছে?
এখানে আমাদেরটাও তারা যেমন শুনছে, তাদেরটাও আমরা শুনছি। নিজস্বতা হারানোর কিছু নেই। যাদেরটা ভালো লাগবে, শ্রোতা তাদেরটাই গ্রহণ করবে। আমরা যদি শ্রোতাকে ভালো কিছু দিতে না পারি, তাহলে অন্যদেরটা গ্রহণ করবেÑ এটিই স্বাভাবিক। খেলার মাঠে দুপই থাকে। যারা ভালো খেলবেন, তারা ঠিকই জিতবেন। আমাদেরও ভালো করতে হবে।
ভারত থেকে প্যাকেজে গান করা হচ্ছে। আমাদের ভালো মিউজিশিয়ানরা ঠিকমতো সময় দিতে চান না। আপনার েেত্র এটি কতটা সত্য?
যাদের কাছ থেকে গান করে নিয়ে আসা হয়Ñ তারা টপ আর্টিস্ট নন, টপ আইকনও নন। তারা শুধু ফিল্মের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ফিল্মের গানগুলো করছেন। আমি স্টেজ শো করি, ফিল্মের গান করি, জিঙ্গেল করছি। আমার হাতে অন্য কাজও আছে। আমি যদি শুধু ফিল্মের কাজ করতাম, তাহলে এটি অবশ্যই করতাম। দুইপরে সময়ের সঙ্গে হয়তো মেলে না। তাই করা হয়ে ওঠে না।
You may like
Dhaka Attack Unreleased Song
The Basics of Writing a Custom Research Paper
Study Managing
Amet amet dolore aliquam quiquia etincidunt.
How To Pick a Good Photo Editor
Board Portal Software for holding meetings distantly
Things to Consider When Writing a Research Paper
Ready to Go for Virtual Boardroom? Know this First!
Mail Order Brides to be
Custom Research Paper Mistakes
Latina Brides ᐈ Mail

কাজী শুভর গানে কলকাতার পল্লবী কর ও প্রেম কাজী (ভিডিও)

ভালোবাসা দিবসে দুই বাংলার মিশ্রণে ‘প্রাণের গীটার’

মাহফুজ ইমরানের এক বছরের সাধনার ফসল ‘প্রাণের গীটার’ (ভিডিও)

শাহজাহান শুভ’র ‘কথামালা’ গান অন্তর্জালে

শাকিব খানের কাছে ক্ষমা চাইলেন জায়েদ খান

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গান গাইলো অবস্কিওর

প্রকাশ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অরিজিত সিংয়ের সেই গান

শাকিরার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘পেরো ফিয়েল’

তানজীব সারোয়ারের নতুন গান
